জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী নাদিয়া আহমেদ। দুই দশক ধরে নিয়মিত কাজ করছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। ধারাবাহিকের পাশাপাশি একক নাটকেও অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। এ ছাড়া নৃত্য নিয়ে দেশের বাইরেও পারফর্ম করেন। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে সম্প্রতি কথা বলেছেন যুগান্তরের সঙ্গে।
* কী নিয়ে ব্যস্ত এখন?
** কয়েকটি ধারাবাহিকে অভিনয় করছি। যার মধ্যে ‘বকুলপুর’ অন্যতম। চার বছর ধরে এ ধারাবাহিকটি চলছে। এ ছাড়াও ‘গোলমাল’ এবং ‘একটি গ্রাম’ নামে আরও দুটি নাটকেও অভিনয় করছি। পাশাপাশি নাচ নিয়ে কিছু স্টেজ শো’র পরিকল্পনা রয়েছে। কিছুদিন আগে দেশের বাইরেও গিয়েছিলাম শো করার জন্য। এছাড়া একটা একক নাটকেও অভিনয় করেছি। যেখানে আমার চরিত্রটা খুবই বাজে।
* কী ধরনের চরিত্র এটি?
** আমি যে চরিত্রটা করছি, মানুষ হিসাবে সে খুবই খারাপ। শ্বশুরের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। কষ্ট দেয়। এ চরিত্রটি করার পর আমি এটাই ভাবছি যে, আমার দর্শক তো এবার আমাকে অপছন্দ করা শুরু করবে। কিন্তু কী আর করার আছে। একজন অভিনেত্রী হিসাবে সব ধরনের কাজ আমার করা উচিত। তাই করছি।
* অনেকেই এখন ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় কমিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু আপনি এখনো করছেন। কেন?
** আমিও যে খুব বেশি কাজ করছি তেমন নয়। আগে একসঙ্গে ৪/৫টি ধারাবাহিকে কাজ করতাম। এখন করি মাত্র ২/৩টি। কারণ এ নাটকগুলোর গল্প ভিন্ন। শুধু তাই নয়, এসব গল্পে আমার চরিত্রটিও একটা আরেকটার চেয়ে আলাদা। আর একটা বিষয় রয়েছে, সেটা হলো একটা ভালো টিম। বর্তমানে চলমান কাজগুলোর প্রতিটি টিমই আমার পরিচিত এবং পরিবারের মতো। এর আগেও তাদের সঙ্গে কাজ করেছি। আমি সব টিমের সঙ্গে কমফোর্র্টেবল না। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এ ধারাবাহিকগুলো দর্শক ভীষণ পছন্দ করেন।
* এখন তো সব মাধ্যমেই অনেক কাজ হচ্ছে। আপনার কি মনে হয় গল্পে বা কাজে বৈচিত্র্য আছে?
** আমার মনে হয় না যে খুব একটা বৈচিত্র্য আছে। বেশিভাগ সময় দেখা যায় একই ধরনের গল্প। চরিত্রগুলোও একই। আবার একই অভিনয়শিল্পী ঘুরেফিরে কাজ করছেন। সবচেয়ে অদ্ভুত বিষয় হলো নেতিবাচক বিষয় বেশি তুলে ধরা হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশের ট্রেন্ড ফলো করতে গিয়ে আমরা দিন দিন নিজেদের সত্ত্বা হারিয়ে ফেলছি। অথচ, আমাদের নিজেদের সমাজের গল্প কিংবা পজেটিভ অনেক কিছু আছে। সেটা আমরা তুলে ধরছি না। আমি যখন দেশের বাইরে যাই, তখন দর্শকরা আমাদের দেশের, আমাদের নিজস্ব গল্পেরই প্রশংসা করেন। এমনি কলকাতার দর্শক আমাকে এও বলেছে, তারা তাদের ধারাবাহিক পছন্দ করে না। সেখানে সব কিছু অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়। তারা আমাদের নাটক ভীষণ পছন্দ করেন।
* ওটিটি’র কাজ করছেন না কেন?
** একটা কাজ করেছি। তারপর আর করা হয়নি। মূলত পছন্দমতো চরিত্র পাচ্ছি না। আবার এও হতে পারে, আমি বেশিরভাগ সময় গ্রামের মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি বলে, আমার কাছে আসছে না। নির্মাতারা হয়তো ভাবছেন আমাকে দিয়ে হবে না। কিন্তু একজন অভিনয়শিল্পী হিসাবে সব ধরনের চরিত্রের ক্ষুধাই আমার আছে। আমিও চাই কেউ আমাকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করুক। আবার আরেকটা বিষয় আছে, ওটিটিতে অনেক সময় বোল্ড কিছু দৃশ্য থাকে। তারা হয়তো ভাবে আমি সেগুলো করব না। শালীনতার মধ্যে যে কোনো কাজের জন্যই আমি প্রস্তুত।