বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের পরিবার দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুক্রবার সকালে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৭ সালে খালেদা জিয়ার ছেলে (তারেক রহমান) মুচলেকা দিয়ে চলে গেল লন্ডন। বলল, আর জীবনে রাজনীতি করব না। এখন ওখানে বসে হুকুম দিয়ে দিয়ে মানুষ হত্যা করাচ্ছে। জিয়াউর রহমান যেমন অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনীর অফিসার, সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করেছে, ঠিক একইভাবে জিয়ার বউ (খালেদা জিয়া) ক্ষমতায় এসে আমাদের আন্দোলনরত নেতাকর্মীদের হত্যা করে। আর তার ছেলেও এখন একই কাজ করছে। জিয়া পরিবার পুরোটাই একটি খুনি পরিবার। তারা মানুষ খুন আর দুর্ভোগ ছাড়া আর কিছুই চায় না। নিজেরা ক্ষমতায় থেকে সমানে অর্থ বানিয়েছে, সম্পদের পাহাড় গড়েছে। এরা মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না। এটাই তাদের চরিত্র।
গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি সমাবেশ ঘিরে সহিংসতার কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, পুলিশকে যেভাবে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে মারল, মারতে মারতে যখন সে বেহুশ হয়ে গেছে তখন তার মাথা থেকে হেলমেট ফেলে দিয়ে মাথায় কোপাল। এরা হচ্ছে বিএনপি নেতা। আমরা কোন দেশে বসবাস করছি! পুলিশ হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে হামলা চালিয়ে অ্যাম্বুলেন্স পোড়ানো হলো। সেখানে পুলিশদেরও আহত করা হলো। এমনকি সাধারণ রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা করা হলো। এই হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের চরিত্র। তাদের ওপর জনগণের অস্থা বিশ্বাস থাকবে কিভাবে? এদের আন্দোলন মানেই জ্বালাও-পোড়াও।
তিনি বলেন, এদের (বিএনপি-জামায়াত) শিক্ষাটা বোধহয় ইসরাইলের কাছ থেকে নেওয়া। ইসরাইলিরা হাসপাতালে বোম্বিং করে নারী-শিশু রোগীদের হত্যা করেছে। সেখানেও কিন্তু অ্যাম্বুলেন্সের ওপর আক্রমণ হয়েছে। ছোট ছোট শিশুসহ যেভাবে মানুষ হত্যা করেছে। সেখানে লাশের স্রোত বয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াত বোধহয় ওদের কাছ থেকে শিক্ষা নিয়ে চলে। এখন তারা আউট সোর্সিং আন্দোলন শুরু করেছে। কিছু ড্রাগ অ্যাডিকটেড ও সমাজের অবাধ্য লোকজন দিয়ে তাদের হাতে টাকা দিয়ে আগুন সন্ত্রাস চালাচ্ছে। আবার এক যুবদল নেতা সরাসরি বাসে আগুন দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। অনেক স্থানে জনগণও এসব সন্ত্রাসীদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। তারপরও এদের লজ্জা হয় না।
শেখ হাসিনা বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) ও পরশু (বুধবার) চাল বোঝাই গাড়িতে আগুন দিয়েছে। দেশের মানুষ যে খাবার খাচ্ছে তা ওদের পছন্দ হচ্ছে না। ঠিক পাকিস্তানিরা এভাবে ঘোলা ভরা ধান পুড়িয়ে দিয়েছিল। টুঙ্গিপাড়ায় আমাদের বাড়িও আগুন দিয়ে পুড়িয়েছিল। সারা গ্রামকে গ্রাম পুড়িয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক শিক্ষা ওই সমস্ত জায়গা থেকে হয়েছে। এরা মানুষের জন্য কিছু করতে চায় না।
নিজের শাসনামলের উন্নয়নের ফিরিস্তি তুলে ধরে তিনি বলেন, ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা দেশের অনেক উন্নয়ন করেছিলাম। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসার পর আমরা দেশটি যেখানে রেখে গিয়েছিলাম সেখান থেকে আবার পিছিয়ে পড়েছিল। দেশের খাদ্য নিরাপত্তা কমে গিয়েছিল, বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গিয়েছিল। একে একে সবকিছ আবার পেছন দিকে চলে গিয়েছিল। আমাদের ছিল ভাতের অধিকার আদায়ের আন্দোলন। আর সে আন্দোলনে আমরা সফল হয়েছি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বাংলাদেশকে নিয়ে জাতির পিতা শূন্য হাতে যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখন একটি টাকাও রিজার্ভ মানি ছিল না। কোনো খাবার ছিল না। তখন কোনো ফসল হয়নি। রাস্তাঘাট কিছুই ছিল না। যা ছিল তাও ধ্বংসস্তূপ। ওই অবস্থায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন দেশে ফিরে আসলেন তখন তিনি এই ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে দায়িত্বভার নিয়েছিলেন। ওই সময় একজন বিদেশি সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দেশে তো কিছুই নাই, কোনো রিসোর্স নেই, আপনি কিভাবে এদেশ গড়ে তুলবেন? তখন জাতির পিতা বলেছিলেন- আমার মাটি আছে, দেশের মানুষ আছে। আমি মাটি ও মানুষ দিয়ে এদেশ গড়ে তুলব।
১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ৮১ সালে আমি যেদিন বাংলাদেশে ফিরে আসি সেই দিন ঘোষণা দিয়েছিলাম বাংলাদেশের মানুষরাই আমার আপনজন, তারাই আমার আত্মীয়। আমি সেইদিন বাংলাদেশের সব মানুষ ও মুজিব আদর্শের সৈনিকদের ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়েছিলাম। এরাই আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। বাংলাদেশে আসার পর আমার চলার পথ মসৃণ ছিল না। যে ঘাতকরা আমার বাবা-মাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল তাদের বিচার হবে না।ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, বিচার হতে রেহাই দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে হত্যাকারীদের পুরষ্কৃত করা হয়েছে। ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায়। এদিন আমার কাছে ভীষণ কষ্টের দিন। এইদিনে নির্মম বুলেট আমার অপনজনদের কেড়ে নিয়েছে। আমি আমার মা-বাবা ভাই সব হারিয়েছি। সেদিন শাহাদতবরণ করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার মা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব ও তিন ভাইসহ আত্মীয়স্বজন পরিবার পরিজন। আমার একমাত্র চাচা, তাকেও হারিয়েছি। এ স্বজন হারানোর কষ্ট আমি কখনও ভুলতে পারি না।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে যারা গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ করে বাংলাদেশের সম্পদ পুড়িয়েছে, লুটপাট করেছে, নারীদের ওপর পাশবিক অত্যাচার চালিয়েছে। সেইসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুরু করেছিলেন, সেই বিচার পরবর্তীতে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই সময় যারা জেলখানায় ছিল তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তারাই তখন কেউ প্রধানমন্ত্রী, কেউ মন্ত্রী, কেউ উপদেষ্টা আবার কেউ সরকারের উচ্চপর্যায়ে বসা ছিল। সেই অবস্থায় আমি বাংলাদেশে ফিরে আসলাম। তখন আমাকে অনেকেই দেশে ফিরতে নিষেধ করেছিলেন। অনেকেই বলেছিল, আপনি যাচ্ছেন আপনার কী হবে! তখন আমি আমার মনের তাগিদে দেশে ফিরে এসেছিলাম। আর সেইদিন আমার ছোট বোন রেহানা বলেছিল আমি বাচ্চাদের দেখব। তুমি দেশে ফিরে যাও। জাতির পিতার ডাকে এদেশের মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে যুদ্ধ করে বিজয় এনেছে। আর সেই বিজয়ের ইতিহাস পরবর্তীতে মুছে গেছে। ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম নেই। কোনো এক মেজর ঘোষণা দিল, আর ওমনি দেশ স্বাধীন হয়ে গেল! এমন উদ্ভট সমস্ত ইতিহাস রচনা করা হয়েছিল। জয় বাংলা স্লোগান ও ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। যে ভাষণ প্রতিনিয়ত মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে সেই ভাষণটিকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। এমনকি বাংলাদেশের নামটাও পরিবর্তনের চেষ্টা করা হয়েছিল। বেতার টেলিভিশনের নামও পরিবর্তন করা চেষ্টা করা হয়েছিল। ঠিক যেন পাকিস্তানি একটি প্রদেশের মতো বাংলাদেশকে তৈরি করা।অথচ আমরা লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছি!
নিজের জীবনের ওপর হামলার কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বারবার আমি মৃত্যুকে সামনে দেখেছি। এই কোটালীপাড়ায়ই বিশাল বিশাল বোম মাটির নিচে পুঁতে রাখা হয়েছিল। একজন চায়ের দোকানদার খুজে বের করল সেই বোমা। একটি ছিল ৭৬ কেজি, আরেকটি ছিল ৮৬ কেজি। এই দুটি বোমা মাটির নিচে পোঁতা ছিল। সেখান থেকে আমি উদ্ধার পেলাম। আর তাছাড়া যেদিন থেকে এই বাংলাদেশে এসেছি সেদিন থেকেই সভা, সমাবেশে আক্রমণ, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সরাসরি গুলি প্রতিনিয়ত হচ্ছে। এই অবস্থায় আল্লাহ আমাকে বারবার বাঁচিয়ে এনেছে। এরমধ্য দিয়ে ৯৬ সালে সরকার গঠন করি। ২০০৯ সাল থেকে একটানা ক্ষমতায় আছি। অন্তত এটুকু বলতে পারি বাংলাদেশটা তো বদলে গেছে। বাংলাদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতি হয়েছে। এখন আর দেশের মানুষের খাদ্যের হাহাকার নেই। খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পেরেছি। চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পেরেছি। শিক্ষার সুযোগ করি দিচ্ছি। ঠিক যেমনটি জাতির পিতা চেয়েছিলেন। একটানা ক্ষমতায় থাকার ফলে আমরা এমনটা পেরেছি। আমরা একটানা ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ন দৃশ্যমান হতো না।
শেখ হাসিনা কোটালীপাড়ার নেতাদের উদ্দেশে বলেন, আমার মূল শক্তি ও সাহস হচ্ছে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াবাসী। আর বাংলাদেশের জনগণ তো আছেই। এজন্য আমি সর্বক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। আপনাদের কাছে আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। আপনারা আমার নির্বাচনি এলাকার দায়িত্ব নিয়েছেন বলেই আমি সারা দেশের কথা ভাবতে পারছি। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন। আপনারা আমাকে প্রার্থী করেছেন। আগামী ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। এর আগে ভোট চাওয়া যায় না। নির্বাচনি একটি শৃঙ্খলা আছে। আমাদের সেই শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। আমরা নির্বাচনকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে এসেছি। আমরা আইন পাশ করে এবারই প্রথম নির্বাচন কমিশন গঠন করেছি। এটাকে স্থায়ীভাবে রূপ দেওয়াটাই আমাদের উদ্দেশ্য।
কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন আহম্মেদ, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিনিধি শহীদ উল্লা খন্দকার, কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আয়নাল হোসেন শেখ বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তম্ময়, যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহবুব আলী খান, সাধারণ সম্পাদক জিএম সাহাব উদ্দিন আজম, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী নাজমা আক্তর, সহকারী একান্ত সচিব গাজী হাফিজুর রহমান লিকু, কোটালীপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস, কোটালীপাড়া পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান হাজরা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন শেখসহ কোটালীপাড়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শুরুর আগে দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরের দ্বিতীয় দিন নিজ নির্বাচনি এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।
এর আগে শেখ হাসিনা সকাল পৌনে ১০টায় টুঙ্গিপাড়ার নিজ বাসভবন থেকে কোটালীপাড়া আওয়ামী লীগ অফিসে এসে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার বিকাল ৪টায় অবিরাম বর্ষণ ও বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করে দু’দিনের ব্যক্তিগত সফরে সড়কপথে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আসেন। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।এরপর তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞের শিকার অন্যান্য শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি তার নিজ বাসভবনে চলে যান এবং সেখানে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে
দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাসভবনে রাত্রিযাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শুক্রবার শেখ হাসিনা বেলা ১১টা ৫৫ মিনিটে কোাটালীপাড়ায় কর্মসূচি শেষে আবারও সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে রওনা হন। টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থানের পর শুক্রবার বিকালে তার ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে।