আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকার বিভিন্ন মহল থেকে ‘অযাচিত ও অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে’ অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। চিঠিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত মাসে জাতিসংঘের মহাসচিবের শেফ দ্য ক্যাবিনেট আর্ল কোর্টনে র্যাট্রকে এই চিঠি দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে এই চিঠিটি মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের নির্বাহী কার্যালয়েও পাঠানো হয়
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এই চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি গণমাধ্যমে জানান, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সময় র্যাট্রের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হয় এবং বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়। এরপর তিনি এই চিঠি পাঠান।
জাতিসংঘকে বাংলাদেশের একজন মন্ত্রীর এই চিঠিটি এমন সময় সামনে এলো যখন জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্যাংশনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বারবার সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানানো হচ্ছে।
চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘গণতন্ত্রের একজন ক্রুসেডার’ এবং তিনি দেশের মানুষের ভোট, খাদ্য ও সুন্দর জীবনযাপনের অধিকার নিশ্চিত করতে অনেক কষ্ট করেছেন।
শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন আয়োজন করতে বদ্ধপরিকর। কিন্তু একইসঙ্গে বিক্ষোভের নামে সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি পোড়ানো ও মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনাগুলো তিনি সহ্য করবেন না, যা বিরোধী দল নিয়মিত করে আসছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে লেখেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকার, ন্যায়বিচার ও মানুষের সম্মান রক্ষায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছে।
তা স্বত্বেও আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে বাংলাদেশ বিভিন্ন মহলের কাছ থেকে ‘অযাচিত, অযৌক্তিক ও আরোপিত রাজনৈতিক চাপের’ মুখোমুখি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
জাতিসংঘকে আহ্বান জানিয়ে মোমেন বলেন, আমরা আশা করব জাতিসংঘ ও তার সেক্রেটারিয়েট, সংস্থা ও স্থানীয় কার্যালয়গুলো বাংলাদেশকে উন্নয়নের পথে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে যেতে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘের একটি