বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

সাবেক সেনা ও গোয়েন্দাপ্রধানের বিরুদ্ধে ‘কখনো ষড়যন্ত্র করেননি’ নওয়াজ

সাজা ও জরিমানা পাওয়া আজিজিয়া রেফারেন্স বা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। তার দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) তিনি দেশে ফেরার অনেক আগেই ঘোষণা দিয়েছে, নওয়াজই হবেন আগামী প্রধানমন্ত্রী।

ওদিকে পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি হুশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, নওয়াজ শরিফকে ইলেকশন নয় ‘সিলেকশনের’ মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বানানোর চেষ্টা চলছে। এমন হলে আগামী নির্বাচনের ফল তিনি ও জনগণ মেনে নেবে না। সাধারণ মানুষের মতো তিনিও হয়তো অনুমান করছেন যে, এস্টাবলিশমেন্টের সঙ্গে নওয়াজের কোনো বনিবনা হয়েছে। তা না হলে সাজাপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি দেশে ফিরেই বিশাল জনসভা করতে পারেন না। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা খারিজ হয়ে যাচ্ছে। এতে সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে বিলাওয়াল ও রাজনৈতিক মহলে।

এ অবস্থায় বুধবার নওয়াজ শরিফ বলেছেন, তার বিরুদ্ধে যারা ব্যবস্থা নিয়েছিল, সে বিষয়ে প্রতিশোধ নিতে আগ্রহী নন তিনি। তবে জনগণের শত্রুদের ক্ষমা করে দেওয়ার কোনো অধিকার তার নেই।

তিনি বলেন, তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার মাধ্যমে ২৫ কোটি মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন জিও নিউজ।

নওয়াজ শরিফ বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) কমর জাভেদ বাজওয়া এবং গোয়েন্দাপ্রধান জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ফয়েজ হামিদ বা জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাহিল শরিফের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র তিনি কখনো করেননি।

লাহোরে পার্লামেন্টারি বোর্ডের সভায় বক্তব্য রাখছিলেন নওয়াজ। চার বছর নির্বাসনে থাকার পর অক্টোবরে দেশে ফেরেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিক। তার পর থেকেই তিনি আগামীতে চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

এ ক্ষেত্রে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে সব দুর্নীতির মামলা থেকে খালাস পেতে হবে। আল আজিজিয়া রেফারেন্সে তাকে সাত বছরের জেল এবং ২৫ লাখ পাউন্ড জরিমানা করা হয়েছিল। সেই মামলাকে তিনি ভুয়া বলে অভিহিত করেছেন। এ ‘ষড়যন্ত্রের’ সঙ্গে জড়িতদের নাম সামনে আনা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন