বৃহস্পতিবার, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

নৌকা হারানোর শঙ্কায় ক্ষোভ ঝাড়লেন তরীকতের নজিবুল

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা হারানোর শঙ্কায় ক্ষোভ ঝাড়লেন চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় ধানমন্ডিতে তরীকত ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি নিজের অবস্থান তুলে ধরেন।

নজিবুল বশর দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট থেকে গত ৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে তার মনোনয়ন নিশ্চিত করা হয়।

তিনি বলেন, আমরা জানি, আমরা আছি। আমি জানি আমারটা আছে। আমাকে ৪ ডিসেম্বরই বলে দেওয়া হয়েছিল।

আওয়ামী লীগ শরিকদের জন্য আসন ছাড়ার বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসেনি। তবে বৃহস্পতিবার ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক এবং আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুর কথায় পরিষ্কার হয়, জোটে শরিকদের সাতটি আসন ছাড়া হচ্ছে।

এই তালিকায় বাদ পড়েছেন চট্টগ্রাম-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি। তিনি গত নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এবার নৌকা হারানোর শঙ্কায় তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

নজিবুল বশর বলেন, ৪ ডিসেম্বর আমরা গণভবনে যাই। আলোচনা হয়েছে। আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। সেদিন কমিটিগুলো করা হয়। সেদিন ওবায়দুল কাদের প্রকাশ্যে কয়েকজনের নাম বলে দিয়েছিলেন। বাকিগুলো আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।

এদিকে বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, এবার তরীকতের নজিবুল বশর নন, আসনটি পেতে পারেন সুপ্রিম পার্টির চেয়ারম্যান ও নজিবুল বশরের ভাতিজা শাহজাদা সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ।

এ বিষয়ে নজিবুল বশর বলেন, তিন মাস আগে নিবন্ধন পেয়ে যদি কেউ মনোনয়ন পায়, তাহলে রাজনীতির অবস্থান কোথায় যাবে? সুপ্রিম পার্টি তো জোটে নাই। তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড কী? ক্যারিয়ার কী? হঠাৎ কেউ এল, দু-চারটা প্রোগ্রাম করল, বলে দিলেন আছে। এটা দেশের জন্য, আগামী রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।

তিনি বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট ভালো না। বিএনপি-জামায়াত রাজনীতির বাইরে। তারা সন্ত্রাস সহ আন্দোলন করে যাচ্ছে। বহির্বিশ্ব চুপচাপ, এটা ভালো লক্ষণ না।

আরও পড়ুন