বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম আসরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়েছে। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজির জমজমাট এই টুর্নামেন্ট। আসন্ন বিপিএলে ফরচুন বরিশালের হয়ে মাঠে নামবেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল।
বিপিএলের সূচি অনুযায়ী, উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনেই মুখোমুখি হচ্ছে দেশের ক্রিকেটের দুই মহারথী সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের দল। আগামী ২০ জানুয়ারি দুপুর দেড়টায় জমজমাট ম্যাচটি হওয়ার কথা রয়েছে মিরপুর শের-ই-বাংলায়। তবে এখন থেকে বিপিএল আসরটির জন্য দল গোছাচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) নিজের দল ফরচুন বরিশালের সবশেষ অবস্থা জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন তামিম ইকবাল; যা ফরচুন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির ফেসবুক পেজে আপলোড করা হয়।
ভিডিওতে তামিম বলেন, ‘আসসালামু আলাইকুম সবাইকে, আশা করি আপনারা সবাই ভালো আছেন। বিশেষ করে যারা বরিশাল থেকে আছেন। খুব বেশি সময় আর বাকি নেই বিপিএলের। আমরা ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বসে যে কাজগুলো বাকি আছে, সেগুলো ঠিকঠাক করতে পারি। আমাদের মালিক মিজান ভাই উনি আমাদের অনেক সময়ও দিচ্ছেন। আমাদের যা যা চাহিদা সেটা চেষ্টা করছেন পূরণ করে দেওয়ার।’
বিপিএল চলাকালীন মাঠে গড়াবে আরও বেশ কিছু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। একই সময়ে এতগুলো লিগ মাঠে থাকায় বিপিএলে মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড় পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ও সমর্থকরা। তবে আশ্বস্ত করছেন তামিম, ‘আসলে এমন কঠিন একটা পরিস্থিতিতে আমরা আছি। আপনারা জানেন যে, বিপিএল এমন সময়ে শুরু হচ্ছে। একই সময়ে আরও পাঁচটা লিগ একইসঙ্গে চলবে। অনেক খেলোয়াড় আসা-যাওয়ার ওপর থাকবে, আমরা ওইটাই মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি এখন বসে সবাই। আমাদের যেন খুব বেশি এফেক্টেড হতে না হয়, তারপরও যারা ফরচুন বরিশালের ফ্যানরা আছেন আপনাদেরকে মেনে নিতে হবে। কারণ পরিস্থিতিটাই এরকম। আশা করি আমাদের দলের অতটা ক্ষতি হবে না।’
বিপিএলে বরাবরই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের দাপট। বরিশালের ফ্র্যাঞ্চাইজি বিভিন্ন নামে তিনবার ফাইনাল খেললেও একবারও চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। তবে এবার বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই লড়বে বলে জানান তামিম, ‘ইনশা-আল্লাহ অন্য সবদিক থেকে আমরা প্রস্তুত। আমি মনে করি আমরা একটা ভালো দল তৈরি করেছি, যেটা চ্যাম্পিয়নশিপ লড়াইয়ের জন্যও প্রস্তুত থাকবে।’
বিপিএলের জন্য সময় নির্ধারিত হয়েছে ১৯ জানুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত। দেশের তিন ভেন্যুতে সাত দলের এই আসর মাঠে গড়াবে। ম্যাচ হবে মোট ৪৬টি। একই সময় মাঠে চলবে আরও ৫টি বিদেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। যার অর্থ— পুরো বিশ্বের আরও ৫ লিগের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে হবে বাংলাদেশের এই লিগকে।