বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ

অবশেষে নিরাপত্তা পরিষদে ‘গাজা প্রস্তাব’ পাস

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হয়েছে গাজা প্রস্তাব। এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলো।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) প্রস্তাবটি ১৩-০ ভোটে পাস হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের মোট ১৫ দেশের মধ্যে ১৩টি প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলেও যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া ভোটদানে বিরত ছিল।

পাস হওয়ার পর জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন।

গত শুক্রবার মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রথম প্রস্তাবটি উত্থাপন করে। প্রস্তাবটির খসড়ায় গাজায় অনতিবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা বলা হয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতার কারণে যুদ্ধবিরতি কথাটি পুরোপুরি বাদ দেওয়া হয়েছে। এর বদলে শুধুমাত্র মানবিক সহায়তার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

এক সপ্তাহ ধরে ঝুলে থাকার পর প্রস্তাবটি পাস হলেও এতে যুদ্ধ থামানোর কোনো কথা না বলায় এর মাধ্যমে গাজায় ইসরায়েলের বর্বর হামলা বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম স্থায়ী সদস্য রাশিয়া বলেছে, এই প্রস্তাব একটি ‘দন্তহীন’ ও ‘অক্ষম’ প্রস্তাব।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভাসিলি নিবানজিয়া বলেছেন, এই প্রস্তাবে যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে বলা হয়নি। এর বদলে এটির মাধ্যমে ‘মুক্ত হস্তে’ ইসরায়েলকে তাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

পাসকৃত প্রস্তাবটিতে যা বলা হয়েছে- সাধারণ ফিলিস্তিনিদের কাছে বাধাহীনভাবে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে হবে। একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির অবস্থা তৈরি করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ সরবরাহের জন্য যত পথ আছে তার সবগুলো ব্যবহার উপযোগী করে দিতে হবে। জাতিসংঘের প্রধানের প্রতি একজন কর্মকর্তাকে নিযুক্ত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। যিনি ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি দেখবেন।

প্রস্তাবে জিম্মিদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে। মানবিক সহায়তা পূরণে গাজায় পর্যাপ্ত জ্বালানি প্রবেশ করার দাবি জানানো হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি সীমান্তে প্রবেশ করে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এরপরই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনির ওপর বর্বর হামলা চালানো হচ্ছে। হামলায় এ পর্যন্ত গাজায় ২০ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে আট হাজার শিশু ও ছয় হাজার ২০০ জন নারী।

আরও পড়ুন