প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেছেন, অনেককে বলতে দেখা যায়, কি নির্বাচন করবো ভোট এখানে দিলে ওখানে চলে যাবে। এগুলো অবান্তর ভ্রান্ত প্রচারণা। এ ধরনের প্রচারণাকে বিশ্বাস করবেন না। এটা সম্ভব নয়। যদি সম্ভব হয় আপনারা নির্বাচন কমিশনে আসবেন, আমি নিজে তদন্ত করবো কীভাবে সম্ভব হলো। প্রশাসনের ওপর আমাদের আস্থা আছে।চট্টগ্রামে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এখনো অনেক ভাল উল্লেখ করে বলেন,কোন প্রকার অবধৈ হস্তক্ষেপ করলে প্রর্থীতা বাতিল করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,চট্টগ্রামে কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তি পূর্ণ ভাবে নির্বাচনের প্রচারনণা চলছে।
একটি স্বচ্ছ, সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এমন একটি জবাবদিহিতামূলক নির্বাচন আমরা অনুষ্ঠিত করতে চাই যার পেছনে কোনো বৈদেশিক জল্পনা কল্পনা থাকবে না। দ্বিধা, প্রলোভন, অনুরোধ, অভিযোগ সবকিছুর ঊর্ধ্বে নির্বাচনি আয়োজন করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ মাঠ প্রশাসনের চট্টগ্রাম বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের মতবিনিময় সভা শুরু হয়েছে। সকালে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরের এলজিডি মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলাম।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব মোহাম্মদ জাহাংগীর আলম।উপস্থিত ছিলেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুর বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান,চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়, চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা প্রমুখ। কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন,আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ভোটের হার প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর সবাই দেখতে পারবে ।আমরা একটি অ্যাপ তৈরি করেছি। সেই অ্যাপের মাধ্যমে দুই ঘণ্টা পরপর কত শতাংশ ভোট হলো তা দেখা হবে। এখানে ভোট চুরি করার কোন সুযোগ থাকবেনা।সকাল দশটায় ২৫ শতাংশ দুপুর ১২ টায় ৮০ শতাংশ ভোট দেখানোর কোন সুযোগ নেই। সেটা তো বিশ্বাস যোগ্য হবে না। যারা প্রার্থী তারাও এটি ট্র্যাক করতে পারবে, সাধারণ ভোটাররাও এটি ট্র্যাক করতে পারবে।
প্রার্থীদের মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন প্রার্থী একে অপরের বিপক্ষে অভিযোগ তুলে ধরেন সিইসির কাছে।বৈঠকে সিইসি নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে প্রার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন।নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের নিশ্চয়তা দেন তিনি।
এ সময় প্রার্থীরাও একে অপরের বিপক্ষে অভিযোগ তুলে ধরেন সিইসির কাছে। প্রার্থীদের উদ্দেশে নির্বাচন আচরণ বিধিমালা মেনে চলার আহ্বান জানান এবং তাদের অভিযোগ যথাযথ কর্তৃপক্ষ বরাবর দেওয়ার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন কোন প্রকার অবধৈ হস্তক্ষেপ, কোনো রাজনৈতিক দলের দমন নিপীড়নসহ যেকোন প্রকার অযাচিত কর্মকা- শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। অবধৈ হস্তক্ষেপের সাথে সাথে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি সকল প্রর্থীদের এজেন্ট দেওয়ার আহবান জানান।এজেন্টরা সকাল থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন।একজন প্রার্থী থানার ওসিকে হুমকি প্রসঙ্গে বলেন,এটা পুলিশ বাহিনী রয়েছে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
দুপুরে তিনি পিটিআই মিলনায়তনে মাঠ প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এ ছাড়া বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের প্রশাসনের কর্মকর্তা, রেঞ্জ ডিআইজিসহ বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবির প্রতিনিধি, জেলা কমান্ডারসহ আনসার ও ভিডিপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভাগীয় ও জেলা পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাচন কর্মকর্তা, মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।