চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল বলেছেন, ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর স্মার্ট পোর্টে পরিনত হবে।গত তিন বছর কোভিট-১৯ ও বিশ্বমন্দার মধ্যেও চট্টগ্রাম বন্দর তিন মিলিয়ন ক্লাবে রয়েছে।২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩০ লাখ ৪ হাজার ৫০৫ টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। বছর শেষে ৩ দশমিক ১ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ে সক্ষম হবে। যা গত বছরের সমান। আশাকরি এ বছর কার্গো হ্যান্ডলিং ১২ কোটি টন ছাড়িয়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে করেন।চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক এর পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান, (ই)।
মাতারবাড়ী সমুদ্র বন্দরের প্রকল্প পরিচালক, বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন,বে টার্মিনাল আর স্বপ্ন নয় বাস্তবে পরিনত হতে চলেছে ২০২৪ সালের মাঝামাঝিতে শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান।তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বে টার্মিনালের মাস্টারপ্ল্যানের মোড়ক উন্মোচন করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বে টার্মিনালের মাল্টিপারপাস টার্মিনাল নির্মাণের জন্য আবুধাবি পোর্ট গ্রুপ ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দাখিল করেছে।এখানে বিদেশীরা বিনিয়োগ করতে আগ্রাহী।কিন্তু তার পরেও ওর্য়াল্ড ব্যাংক বিনিয়োগের আগ্রাহ প্রকাশ করেছে।
বে টার্মিনালের কনটেইনার টার্মিনাল ১ ও ২ নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য পিএসএ সিঙ্গাপুর ও ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে আগামী বছর চুক্তি সই হবে আশা করছি।
তিনি বলেন, দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে বে টার্মিনালের চতুর্থ টার্মিনাল হিসেবে গ্যাস ও অয়েল টার্মিনাল নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ টার্মিনালের জন্য একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ৩ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়েছে।এটা হলে দেশে আগে ২৫ দিনের তেল রির্জাব এর পরিবর্তে ২ মাস তেল রির্জাব রাখা যাবে। লালদিয়া কনটেইনার টার্মিনাল নির্মাণে ডেনমার্কের এপিএম টার্মিনালস প্রস্তাব দিয়েছে, যা পিপিপি প্রকল্প হিসেবে প্রক্রিয়াধীন।