- আতশবাজি ও প্রার্থনার মাধ্যমে নতুন বছরকে স্বাগত জানাল বিশ্ব (আল জাজিরা)।
ইংরেজি ২০২৩ সালকে বিদায় জানিয়ে বর্ণিল উৎসবে নতুন বছর ২০২৪ সালকে স্বাগত জানাল বিশ্ব। আলো ঝলমলে, আকর্ষণীয় আতশবাজি ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে স্বাগত জানানো হয়েছে নতুন বছরকে।
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ কিরিবাতি। এ ছাড়া বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে সবার আগে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনি। খবর আল জাজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি হারবার এবং নিউজিল্যান্ডের সবচেয়ে উঁচু কাঠামো, অকল্যান্ডের স্কাই টাওয়ারে বর্ণিল আতশবাজি প্রদর্শনের মধ্যে রবিবার রাতে নতুন বছরকে স্বাগত জানায় লাখ লাখ মানুষ।
সিডনিতে প্রায় ১০ লাখের মত মানুষ নদি তীরে এবং নৌকা থেকে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজন উপভোগ করেন।
বর্ষবরণ উপলক্ষে অস্ট্রেলিয়ার সিডনির অপেরা হাউস ও হারবার ব্রিজে প্রতি বছরের মতোই আয়োজন করা হয় আতশবাজির। বর্ণিল আলোকচ্ছটা উপভোগ করা ছাড়াও একে অপরের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে হাজারও মানুষ।
নতুন বছর উপলক্ষে এবার ৮ টন আতশবাজি ফোটানো হয় সিডনিতে। নতুন বছরকে সামনে রেখে সিডনিতেই প্রতি বছর বিশ্বের সবচেয়ে বড় আতশবাজির আয়োজন হয়। বিভিন্ন দেশের পর্যটকরা সেখানে নতুন বছর উদযাপন করতে যান।
এদিকে নতুন বছর বরণের অন্যতম আকর্ষণ যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারের আয়োজন। প্রতি বছরের মতো এবারও ঐতিহ্যবাহী ক্রিস্টাল বলসহ সেখানে জোরেশোরেই চলছে উৎসব।
জাপানে, নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রচুর মানুষ মন্দিরে জড়ো হয়। ঘড়ির কাটা ১২টা পার হওয়ার সাথে সাথে দেশ জুড়ে মন্দিরের ঘণ্টা বেজে ওঠে। টোকিওর সুকিজি মন্দিরে, দর্শকদের বিনামূল্যে গরম দুধ এবং ভুট্টার স্যুপ দেওয়া হয়।
তবে এবার বেশ ব্যতিক্রমীভাবে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে পূর্ব এশিয়ার দেশ চীন। নিরাপত্তা এবং পরিবেশ দূষণ রোধে দেশটির বেশিরভাগ প্রধান প্রধান শহরে আতশবাজি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।
এদিকে ভারতে, মুম্বাইয়ে হাজার হাজার মানুষ আরব সাগরে বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখার জন্য ভীর জমায়। তবে নয়াদিল্লিতে, আতশবাজির কারণে বছরের প্রথম প্রহরেই বিষাক্ত কুয়াশায় ঢেকে গেছে।
নববর্ষ বরণ করেছে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়া এবং ব্রিসবেনবাসীও। এ ছাড়া তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, হংকং ও ফিলিপিন্সও বিশ্বের অনেক দেশের আগে নতুন বছরে পা রেখেছে।