বিএনপি পালিয়ে গেছে দাবি করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ৭ তারিখে এদের (বিএনপি) চিরতরে লালকার্ড দিয়ে বিদায় জানাতে হবে।সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে কলাবাগান মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, খেলা হবে? হবে খেলা? বিএনপি কোথায়? মাঠে আছে? পালিয়ে গেছে। লালকার্ড খেয়ে বাদ। ফাউল করে লালকার্ড খেয়েছে। ২৮ তারিখেই বাদ হয়ে গেছে। ২৮ তারিখে গভীর খাদে পড়ে গেছে বিএনপি। ফাইনাল খেলা ৭ জানুয়ারি।
সেদিন এদের চিরতরে লালকার্ড দিয়ে বিদায় জানাতে হবে। বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার এ প্রিয় ভূমিতে লুটেরা, খুনি ষড়যন্ত্রকারী ও সন্ত্রাসীদের স্থান হবে না। জোরদার খেলা হবে। লুটপাট, আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে খেলা হবে। সাম্প্রদায়িকতা ও অবরোধের বিরুদ্ধে খেলা হবে। খেলতে হবে একসঙ্গে।
তিনি বলেন, ৭ তারিখে জিতবে কারা? শেখ হাসিনার কর্মীরা। ৭ তারিখ ফাইনাল খেলা। তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় যখন গণহত্যা চলে, এদেশের ইসলামপন্থিদের কোনো মিছিল দেখলাম না। বিএনপির কোনো মিছিল দেখলাম।
বিএনপির মহাসচিব ও তারেকের কথোপকথনের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘ফখরুল বলেন- ফিলিস্তিনের পক্ষে সোচ্চার বক্তব্য রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি মাঠ নিয়ে নিলো। জবাবে তারেক বলে, রাখো আমার দরকার আমেরিকা-ইউক্রেন। তোমার ফিলিস্তিন রাখো।’
এর আগে বিকেল সোয়া ৩টায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় পৌঁছান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এসময় স্লোগান স্লোগানে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান নেতাকর্মীরা।
বাংলাদেশের পতাকা হাতে স্লোগানের জবাব দেন তিনি। পাশাপাশি দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান পৃথকভাবে আওয়ামী লীগ সভাপতিকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান।
এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জনসভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর চলে বক্তব্যের পালা। এতে ঢাকার আসনগুলোর দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অংশ নেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।