চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, ৭ জানুয়ারী জবরদস্তি করে জনগণকে ধমক দিয়ে আওয়ামী লীগ একটি অবৈধ একতরফা নির্বাচন করতে চাচ্ছে। তারা গণতন্ত্রকে আগেই হত্যা করেছে, এখন ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে দাফন করতে চায়। তারা একটা ‘আমরা আর মামুরা’ নির্বাচন করতে ছাচ্ছে। এ নির্বাচনের বিরুদ্ধে গোটা দেশ, গোটা জাতি। গত ১৫ বছর ধরে দুঃশাসনের হাতে বাংলাদেশের জনগণ জিম্মি। মানুষের মানবাধিকার আজ ধ্বংসের পথে। অবৈধ সরকারের পাতানো এই নির্বাচনে প্রার্থী নিজেই বলেন, আমি ভারতের প্রার্থী। ভাগ বাটোয়ারার এই নির্বাচন দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
তিনি মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) সকালে রিয়াজুদ্দিন বাজার ও চৈতন্য গলি কাঁচা বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, পাতানো নির্বাচনে আওয়ামী প্রার্থী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, প্রশাসন ও প্রিসাইডিং অফিসার সব একাকার হয়ে গেছে। তারা ছলেবলে কৌশলে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে আনার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে। কোনো কোনো প্রার্থী হুমকি দিচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে না গেলে নাগরিক সুবিধা বাতিল করা হবে। কিন্তু সরকার যত যাই করুক, কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। মাফিয়াচক্রের জন্য অনিবার্য পতন অপেক্ষা করছে। গণতন্ত্রকামী মানুষের চলমান আন্দোলন এগিয়ে যাবে, জনগণের বিজয় হবে।
এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, মো. শাহ আলম, আলকরন ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জসিম মিয়া, বাগমনিরাম ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবু ফয়েজ, কোতোয়ালি থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সেলিম খান, তানভীর মল্লিক, কোষাধ্যক্ষ নুর হোসেন উজ্জ্বল, সহ সম্পাদক মো. বেলাল, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, মো. রিয়াদ, জানে আলম বাচা, যুবদল নেতা মাঈনুদ্দীন খান রাজিব, মাঈন উদ্দিন, এমরান হোসেন প্রমূখ।