সোমবার, ১৪ই অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ

ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে রায় নিয়ে যা জানাল যুক্তরাষ্ট্র

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বিষয়টি নিয়ে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, তারা আইনি প্রক্রিয়ায় গভীর নজর রাখছেন।

ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কারাদণ্ডের বিষয়ে জানতে চান। তিনি বলেন, শান্তিতে নোবেলজয়ী এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম প্রাপ্ত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে নববর্ষের প্রথম দিনে বাংলাদেশের শ্রম আদালত যে কারাদণ্ড দিয়েছে সে বিষয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া জানতে চাচ্ছি। বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা নিয়ে পররাষ্ট্র দপ্তর কী চিন্ত করছে, বিশেষ করে দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অসংখ্য বিরোধী নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ওপর বিচারিক হয়রানিকে আপনারা কীভাবে দেখছেন?

জবাবে ম্যাথু মিলার বলেন, ‘মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কারসহ মর্যাদাপূর্ণ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। আমরা তার বিরুদ্ধে মামলাটি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশ সরকারকে একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য উৎসাহিত করেছি এবং এই বিষয়ে পরবর্তী যেকোনো ঘটনা আমরা ঘনিষ্ঠভাবে নজর অব্যাহত রাখব।’

এরপরে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হয় ম্যাথুকে। তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, চলতি সপ্তাহের শেষেই বাংলাদেশে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এই নির্বাচনে নিজ দল থেকে ডামি প্রার্থী দাঁড় করাতে প্রকাশ্য নির্দেশনা দিয়েছেন ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একটি অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে গঠনমূলক পরামর্শ দিয়েছিল তা উপেক্ষা করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কী এই ধরনের একটি ডামি নির্বাচনকে বৈধতা দেবে? যদি তা না হয় তাহলে এই ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বাইডেন প্রশাসন? গত সপ্তাহে বিবিসি তাদের এক রিপোর্টের শিরোনামে লিখেছে- বাংলাদেশের নির্বাচন ‘ওয়ান ওম্যান শো’তে পরিণত হয়েছে।

জবাবে মিলার বলেন, ‘আমার মনে হয় আমি আগে এই প্রশ্নের জবাব দিয়েছি। তবে যেহেতু এটা নতুন বছর, তাই আবারও আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করতে চাই। আমরা বাংলাদেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করি। আমরা এটি বেশ কয়েকবার পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি।’

আরও পড়ুন