দেশব্যাপী গ্যাস সঙ্কটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি এই সঙ্কট সমাধানের জন্য আগামী মার্চ পর্যন্ত সময় চেয়েছেন।মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার তিনি এ কথা বলেন।
এই সময়ের (মার্চ) মধ্যে গ্যাস সংকট সমাধান হয়ে যাবে বলেও আশ্বাস দেন নসরুল হামিদ। আশার খবর তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বিবিয়ানাতে আরও ১ দশমিক ৬ টিসিএফ (ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিট) গ্যাসের নতুন মজুদ পাওয়া গেছে। সেটি আগামী কিছু দিনের মধ্যে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
চলমান গ্যাস সংকটের কারণ ব্যাখ্যা করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের দুটি এলএনজি টার্মিনালের মধ্যে একটি সংস্কারের জন্য বিদেশে পাঠানো হয়েছে। এ কারণে শীতে চলমান গ্যাস সংকট আরও বেড়েছে। এলএনজি টার্মিনালটি সংস্কার শেষে দেশে না আসা পর্যন্ত গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো পেট্রোবাংলার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি বলেন, প্রতিবছরই শীতে পাইপলাইনে পানি জমার কারণে গ্যাসের সংকট সৃষ্টি হয়। এছাড়া এই সময়ে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় গ্যাসের চাহিদাও বেড়ে যায়। এবার সেই সংকটের সঙ্গে সরবরাহের অপ্রতুলতা যোগ হওয়ায় গ্যাস সংকট বেড়েছে। এই সংকট কাটতে আরও কিছু দিন সময় লাগবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
শীতে গ্যাস সংকটের কারণে বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলতে সমস্যা হচ্ছে, একই সঙ্গে শিল্পেও গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ তৃতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলন করলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই কর্মকর্তাদের আগামী ১০০ দিনের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছেন নসরুল হামিদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেশীয় গ্যাস অনুসন্ধানে গুরুত্ব দিচ্ছি। আশার খবর হচ্ছে আমরা যে গ্যাসকূপ খনন করেছি, সেগুলোতে সফল হয়েছি।’
নিজস্ব গ্যাসের অনুসন্ধান দেশের সবচেয়ে বড় উদ্যোগ হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খনন করা হবে। এরপর আরও ১০০ কূপ খনন করা হবে। আমরা আরও দুটি এলএনজি টার্মিনাল নিয়ে আসছি।’