শিক্ষক সমিতির আন্দোলনের মধ্যেই উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন স্পোর্টস সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেশনজটমুক্ত ডিপার্টমেন্ট, একাডেমিক ক্যালেন্ডার ও স্থায়ী ক্লাসরুমের দাবিতে এ বিক্ষোভ করছেন তারা।
চবি উপাচার্য ও শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার আন্দোলনস্থলে এসে লিখিত আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত এ অবস্থান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এ বিষয়ে ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম এ সম্পর্কে বলেন, আমাদের একটা ভবিষ্যৎ আছে। অথচ এখন পর্যন্ত আমরা বিভাগের জট নিয়ে পড়ে আছি। বর্তমানে এমন একটা অবস্থা হয়েছে যে আমরা এখানেই জীবনটা কাটিয়ে দিচ্ছি। তারা কি আমাদের চাকরির বয়স বাড়িয়ে দিবে?
বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুর বলেন, এটা একটি খেলাধুলা সম্পর্কিত বিশেষ ডিপার্টমেন্ট। এখানে খেলাধুলা হয়। এটা বাংলা বা ইংরেজি ডিপার্টমেন্টর মত না। বাংলাদেশের মাত্র ৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ে এটি চালু হয়েছে তার মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় একটি। যার কারণে এ বিভাগের পর্যাপ্ত গ্র্যাজুয়েট নেই। তাছাড়া যারা বের হয়েছে তাদের শিক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে। এজন্য বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সেশনজট দীর্ঘায়িত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারের আর্থিক অনুদান না আসার কারণে ৮ বছরেও আমরা নিজস্ব বিল্ডিং তৈরি করতে পারিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেসিয়ামে তাদের অস্থায়ীভাবে ক্লাস হয়। এখন আমরা স্থায়ী ভবন তৈরির বিষয়ে উদ্যোগ নিচ্ছি এবং শিক্ষক নিয়োগের ব্যাপরে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা করছি।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় আসার চেষ্টা করছি। আমরা তাদের আন্দোলন সমর্থন করি, আমরা নিজেরাও শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ চাই না। তারা দাবি করছে উপাচার্য মহোদয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলবে, আমরা তাদেরকে আশ্বস্ত করেছি ম্যাডামের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করা হবে।