কিংবদন্তি ফুটবলার পেলের কন্যা বলে দাবি করেছিলেন ব্রাজিলিয়ান এক নারী। কিন্তু তার ডিএনএ পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসায়, তিনি এখন চান আবারও ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পেলের মৃতদেহ উত্তোলন করা হোক। স্থানীয় গণমাধ্যম হতে এ খবর জানা যায়।
কিংবদন্তি এ ফুটবলারের সম্পদের পরিমাণ ১২ মিলিয়ন পাউন্ড। যার ৩০ শতাংশ তার স্ত্রী, ৬০ শতাংশ তার সাত সন্তান এবং ১০ শতাংশ দুই নাতি-নাতনির জন্য রয়েছে।
ব্রাজিলিয়ান গনমাধ্যম হতে জানা গেছে, মারিয়া দো সোকোরো আজেভেদো (৬০) বলেছেন, তিনি পেলের অষ্টম সন্তান এবং তার সম্পত্তির ৬০% অংশের অধিকারী, যা তার সন্তানদের জন্য রেখে দেয়া হয়েছিল। পেলে যার আসল নাম এডসন আরন্তেস ডো নাসিমেন্টো-২০২২ সালের ডিসেম্বরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
তবে মনে করা হয় যে, তিনি জীবনের শেষলগ্নে স্বীকার করেছিলেন, তার একটি অষ্টম সন্তান থাকতে পারে। সেই কন্যার সাথে তার কখনও দেখা হয়নি। তার সন্তানরা ডিএনএ পরীক্ষায় সম্মত হয়েছিল। যদিও সেই কন্যার ডিএনএ ফলাফল নেতিবাচক আসে। তবে আরেকটি পরীক্ষা চলছে বলে জানা গেছে। পেলে পিতৃত্ব পরীক্ষা দিতে রাজি হয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু এর আগেই তিনি মারা যান।
তাই মারিয়ার আইনজীবী তার মৃতদেহ উত্তোলনের অনুরোধ করেছেন। তবে তিনবারের বিশ্বকাপজয়ীর প্রতিনিধিত্বকারী আইনজীবী বলেছেন, অনুরোধটি “অযৌক্তিক”। প্রথমবারের মতো জনসমক্ষে কথা বলতে গিয়ে মারিয়া রবিবার রেকর্ড টিভিকে বলেন, তার মা কখনোই পেলেকে বলেনি- তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মারিয়া প্রাথমিকভাবে ২০১৯ সালে পরীক্ষা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পেলের স্বাস্থ্য এবং কোভিড মহামারীর কারণে এই পরীক্ষা করা হয়নি। এডিনহো, পেলের সাত সন্তানের একজন এবং তার উত্তরাধিকার তত্ত্বাবধানকারী ব্যক্তি। তিনি আগে বলেছিলেন, আমরা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করেছি এবং এটি নিশ্চিত করা হয়েছে- তিনি আমাদের বোন নন।