সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিদেশি সরকারগুলোর কাছে যুক্তরাষ্ট্রের সরঞ্জাম বিক্রি ১৬ শতাংশ বেড়ে রেকর্ড ২৩৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।
এই পরিসংখ্যান লকহিড মার্টিন, জেনারেল ডায়নামিক্স এবং নর্থরোপ গ্রুম্যানের মতো সংস্থাগুলোর জন্য শক্তিশালী বিক্রয়ের প্রত্যাশাকে সমর্থন করে। এই সংস্থাগুলোর শেয়ার মূল্য বিশ্বব্যাপী ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতার মধ্যে বাড়বে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অস্ত্র বিক্রি ও হস্তান্তরকে “আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সম্ভাব্য দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবসহ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে দেখা হয়।”
২০২৩ সালে অনুমোদিত বিক্রয়গুলোর মধ্যে পোল্যান্ডের কাছে ১০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস), জার্মানিতে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এআইএম-১২০ সি-৮ অ্যাডভান্সড মিডিয়াম-রেঞ্জ এয়ার-টু-এয়ার মিসাইল (এএমআরএএএম) এবং ইউক্রেনকে ন্যাশনাল অ্যাডভান্সড সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেমস (এনএএনএএমএস) ছিল।
লকহিড হাইমার্স তৈরি করে এবং আরটিএক্স এএমআরএএএম তৈরি করে । আরটিএক্স পূর্বে রায়থিয়ন নামে পরিচিত ছিল। আরটিএক্স এবং নরওয়ের কংসবার্গ নাসামস তৈরি করে।
লকহিড মার্টিন এবং জেনারেল ডায়নামিকস আশা করছে, কয়েক হাজার রাউন্ড আর্টিলারি, শত শত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের জন্য থাকা অর্ডার এবং সাঁজোয়া যানের অর্ডার আগামী ত্রৈমাসিকে তাদের বিক্রয়ের পরিমাণকে আরও বৃদ্ধি করবে।
বিদেশী সরকারগুলোর যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে অস্ত্র কেনার দুটি প্রধান উপায় রয়েছেঃ সরাসরি বাণিজ্যিক বিক্রয়, এতে একটি কোম্পানির সাথে আলোচনা করা হয়; বা বিদেশী সামরিক বিক্রয় যাতে সরকার সাধারণত রাজধানীতে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের প্রতিরক্ষা বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে। এ দুটি ক্ষেত্রেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অনুমোদন প্রয়োজন।
যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি সামরিক বিক্রয় ২০২২ অর্থবছরে ১৫৩.৬ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ অর্থবছরে ১৫৭.৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের মাধ্যমে বিক্রয় আগের বছরের ৫১.৯ বিলিয়ন ডলার থেকে ২০২৩ সালে ৮০.৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে