অমর একুশে গ্রন্থমেলা শুরু হচ্ছে আজ থেকে। মাসব্যাপী এই বইমেলার সকল আয়োজন শেষ করেছে বাংলা একাডেমি। মেলা উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রন্থমেলা সামনে রেখে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তা প্রস্তুতি।
প্রস্তুতির শেষ দিনের বিকেল বেলায়ও, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা প্রাঙ্গণ ও বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে চলছিলো স্টল ও প্যাভিলিয়নের সাজসজ্জার কাজ। প্রকাশকরা কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।কিছু স্টল ও প্যাভিলিয়ন সাদামাটাভাবে তৈরি করা হচ্ছে, কিছু স্টল বেশ জাঁকজমকপূর্ণ। প্রকাশকরা জানান, এবার পাঠক দর্শকদের বেশি উপস্থিতি প্রত্যাশা করছেন তারা।
উচ্ছ্বাস প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদ মুনীর জানান, “এবারের মেলায় আগের চেয়ে অনেক বেশি পাঠক দর্শকদের উপস্থিতি দেখা যাবে।” মুনীর বলেন, যোগাযোগের উন্নতির কারণে তিনি এমন প্রত্যাশা করছেন।
“অনলাইন প্ল্যাটফর্মে পাঠক সংখ্যা উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন মুনীর। তিনি বলেন, “এই প্রবণতা আমাদের জন্য বড় প্রত্যাশার জায়গা সৃষ্টি করেছে।
“প্রাণের উৎসব প্রাণের মেলা আমাদের প্রাণের বইমেলা । পাঠকের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। তাই এবার তার মেলা নিয়ে উচ্চাশা রয়েছে।
প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে, চিলেকোঠা পাবলিকেশন স্বত্বাধিকারী ইসরাত জাহান বলেন, “এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেলায় অংশ নিচ্ছি। বাংলা একাডেমি ৩০ জানুয়ারির মধ্যে সব কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছিলো। আশা করি, উদ্বোধনের আগেই শেষ করতে পারবো।”
গত ৩৪ বছর ধরে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ‘লেখক বলছি’ মঞ্চ পরিচালনা করে আসছেন টিমুনী খান রীনো। এবারের মেলা নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বলেন, “আশা করি, লেখক-পাঠক, প্রকাশকসহ এবং আয়োজক কমিটি; সকলেই দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করবেন।”
তিনি জানান যে লিটল-ম্যাগ ও শিশু চত্বরের জায়গা সঙ্কুচিত হয়েছে। নারী প্রকাশকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। “নারী প্রকাশকদের জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থান বরাদ্দ নিয়ে ভাবার সময় এসেছে;” বলেন টিমুনী খান।
নিরাপত্তা ব্যবস্থা
অমর একুশে গ্রন্থমেলা সামনে রেখে, সম্ভাব্য নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও জঙ্গি হুমকি মোকাবেলায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে, ডিএমপি কমিশনার বলেন, “দর্শনার্থীরা যাতে কোনো ধরনের শঙ্কা ছাড়াই মেলা ঘুরে দেখতে পারেন সেজন্য আমরা একটি শক্তিশালী নিরাপত্তা কাঠামো গড়ে তুলেছি।”