মালয়েশিয়ার ক্লাং শহরে ‘মিনি ঢাকা’ খ্যাত জালান আমান পেরদানার একটি অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সে এক অভিযানে ৪৯০ জন বিদেশিকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। মালয়েশিয়ায় অতিরিক্ত অবস্থান ও সঠিক কাগজ না থাকাসহ নানা অপরাধের কারণে এদের আটক করা হয়েছে। এদের বয়স ২০ থেকে ৫০ এর মধ্যে।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) মধ্য রাত থেকে জালান আমান পেরদানার এ অভিযানটি শুরু হয়। আটকদের মধ্যে বাংলাদেশ, নেপাল, আফগানিস্তান ও ইন্দোনেশিয়ার লোকজন রয়েছে। প্রয়োজনীয় কার্যক্রম (ডকুমেন্টেশন প্রক্রিয়া) শেষ হওয়ার পর তাদের সেমেনিহ ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হবে।
আটক অনথিভুক্ত বিদেশিরা আশপাশের কারখানায় কাজ করা ও মিনি ঢাকাখ্যাত জালান আমান পেরদানার আবাসন ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। এ কাজে তাদের নিয়োগকর্তাদের মধ্যে কয়েকজনও জড়িত।
মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম দ্যা স্ট্রেইট টাইমসের একটি অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে অবৈধ বিদেশিদের ধরতে এ অভিযান পরিচালনা করে সেলাঙ্গর ইমিগ্রেশন বিভাগ। তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিল বুকিত আমান অ্যান্টি-ভাইস, গ্যাম্বলিং ও সিক্রেট সোসাইটিস ডিভিশন (ডি-সেভেন) এবং জেনারেল অপারেশন ফোর্স (পিজিএ)।
আরও বলা হয়, ওই শিল্প এলাকার একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের সম্পূর্ণটি বিদেশি শ্রমিকে পরিপূর্ণ ছিল। তাদের মধ্যে অনেকেই নথিভুক্ত ছিলেন না। কোনো বৈধ কাগজ না থাকলেও তারা শিল্প এলাকার অ্যাপার্টমেন্টগুলোর নিচে নানারকম ব্যবসা করে আসছিলেন।
অবৈধ বিদেশিদের ধরতে যৌথ অভিযানে যোগ দেয় ৩০০ সশস্ত্র পুলিশ কর্মকর্তা। অ্যাপার্টমেন্টের আটটি ব্লকের মধ্যে চারটিতে অভিযান পরিচালনা করেন তারা। এর আগে পুরো এলাকা রেকি করে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো।
দ্যা স্ট্রেইট টাইমস বলেছে, পুলিশ অনথিভুক্ত বিদেশিদের আগমনের বিষয়ে তথ্য স্থানীয়দের অভিযোগ ও নানা উপাত্তের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছিল। এরপর গত একমাস ধরে মিনি ঢাকা এলাকাটিতে তারা নজরদারি ও তদন্ত চালিয়ে আসছিল।
স্থানীয়রা বলছেন, যারা আটক হয়েছেন তারা সাধারণত আমাদের বিরক্ত করে না। কিন্তু সমস্যা হলো তারা অপরিচ্ছন্ন থাকে। এবং তারা প্রকৃতপক্ষে এখানে অসংখ্য। কখনও কখনও মনে হয় তারা এখানে আমাদের (স্থানীয়) চেয়ে বেশি।