স্বাস্থ্য বিষয়ক গবেষণায় আমরা পিছিয়ে আছি। ডাক্তার সাহেবরা প্র্যাকটিস করে টাকা কামাই করে, গবেষণার দিকে বেশি যায় না। গবেষণায় গুরুত্ব দিলে দেশের মানুষ আরও সুস্থ হবে, সবল হবে, মেধাবীরা আরও মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে। এমন মন্তব্য করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গবেষণা অপরিহার্য। স্বাস্থ্য বিষয়ে যারা গবেষণা করবে তাদের বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ, এনএসটি ফেলোশিপ এবং বিশেষ গবেষণা অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চিকিৎসকদের অনুরোধ করে সরকারপ্রধান বলেন, যারা সরকারি চাকরি করছেন, তারা প্রাইভেট প্র্যাকটিসটা একটু কমিয়ে দিয়ে গবেষণার দিকে মনোযোগ দিন। যারা গবেষণা করবেন তাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য যা প্রয়োজন আমরা করব। গবেষণাটা আমাদের খুব দরকার। বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য বিজ্ঞান, এ দুটির ওপর গবেষণায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। গবেষণায় আরও বেশি মনোযোগ দিতে হবে। গবেষকদের কোনো অসুবিধা থাকলে সেটি কীভাবে দূর করা যায় সে ব্যাপারে আমাদের সরকার সবসময় আন্তরিক।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ গবেষণার জন্য যে টাকা আমরা অনুদান হিসেবে দিচ্ছি, মনে রাখতে হবে এই টাকাটা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। জনগণের টাকা জনগণের কল্যাণে যেন লাগে। কারণ, গবেষণা থেকে যেটা উদ্ভাবন হবে সেটা কিন্তু জনগণের কাজে লাগবে। সেই কথাটা মাথায় রাখতে হবে। আমি মনে করি তরুণদের যে মেধাশক্তি সেটা বিকাশের মধ্য দিয়ে দেশকে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।
এসময়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কৃষিতে গবেষণা করে আজ আমরা শুধু খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নই, বাংলাদেশে এখন আমাদের ফল, ফুল, এমনকি টিউলিপ, যেটা শীতের দেশ ছাড়া হয় না, সেই টিউলিপও বাংলাদেশ হচ্ছে। স্ট্রবেরিও বাংলাদেশে হচ্ছে। সবই গবেষণার ফসল। গবেষণা আমাদের নতুন দুয়ার খুলে দেয়। আর বাংলাদেশের মাটি হচ্ছে সোনার মাটি, যা লাগানো যায় সেটাই হয়। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।