রবিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার এখন বেসামাল- শামীম

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামীলীগ সরকার অবৈধভাবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা দিয়েছিল। এখন সেই মামলাগুলোতে ধারাবাহিকভাবে সাজা দেওয়া শুরু করেছে। অবৈধ পথে ক্ষমতায় থাকা এবং ভোটারবিহীনভাবে আগামী নির্বাচন করতেই একের পর এক সাজা দেওয়া হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করতে শুরু করেছে সরকার। শেখ হাসিনার নির্দেশেই এসব শুরু হয়েছে। এই মুহূর্তে ওই মামলায় সাজা দেওয়া রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। কর্তৃত্ববাদী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে এখন বেসামাল হয়ে উঠেছে। তাই তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নানা কায়দায় জুলুম নির্যাতন চালিয়ে দেশের মানুষকে ভীত সন্ত্রস্ত রাখতে নিষ্ঠুর পথ অবলম্বন করছে। কিন্তু এসব করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। তাই হারানো গণতন্ত্র ফিরে পেতে যেকোনো মূল্যে বান্দরবানের জনসমাবেশ সফল করতে হবে। মামলা হামলা গ্রেপ্তার উপেক্ষা করে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।

তিনি রবিবার (২১ মে) বিকালে বান্দরবান সার্কিট হাউস সড়কস্থ জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আগামী ২৬ মে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বিএনপি ঘোষিত বান্দরবান জেলার জনসমাবেশ সফল করার লক্ষে বান্দরবান জেলা বিএনপির প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে সরকারের রাজনৈতিক ইচ্ছায়। আওয়ামী সরকার ফলাফল ধরিয়ে দেয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। তারা সেই ফলাফলই ঘোষণা করে।

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যতই ষড়যন্ত্র এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতনের খড়গ নামিয়ে আনুক না কেন, জনগণের রোষানল থেকে তারা রেহাই পাবে না।

বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি মিসেস মা ম্যা চিং এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রেজার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন তুষার, জেলা বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি বাবু লুসাই মং, জেলা বিএনপি নেতা আবিদুর রহমান, রিটল বিশ্বাস, সদর পৌর বিএনপির সভাপতি নুরুল ইসলাম, সদর উপজেলা বিএনপির সভপতি ছরোয়ার জামাল, সাধারণ সম্পাদক চনু মং, রোয়াংছড়ি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাও সেতুং, রুমা উপজেলা বিএনপির সভাপতি জিংসমলিয়ান বম, সাধারণ সম্পাদক ইদ্রিস মিয়া, জেলা যুবদলের সভাপতি জহির উদ্দিন মাসুম, জাসাস সভপতি এ্যাড. মো. আলমগীর, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. উম্যাচিং, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম চৌধুরী, জাসাস সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ প্রমূখ।

আরও পড়ুন