নটিংহ্যামের কাছে আর্সেনালের হারে আগেই ইপিএলের ‘হ্যাট্রিক’ শিরোপা নিশ্চিত করেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এই নিয়ে ছয় মৌসুমের মধ্যে পাঁচ বার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন পেপ গার্দিওলার সিটি। এজন্য ঘরের মাঠ ইতিহাদে চেলসির বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল শুধুই আনুষ্ঠানিকতা। তাই নিয়মিত খেলোয়াড়দের বসিয়ে রেখে সাইড বেঞ্চ বাজিয়ে দেখেন সিটি বস। তবে হতাশ করেননি গার্দিওলার শিষ্যরা। হুলিয়ান আলভারেজের গোলে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়ে মাঠ ছেড়েছে তার।
রোববার (২১ মে) চেলসির বিপক্ষে জয়ে ইপিএলের শিরোপা উচিয়ে ধরার রাতটা আরও রঙিন হয়ে ওঠে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে। শেষ বাঁশি বাজতেই গ্যালারি থেকে সিটি সমর্থকরা নেমে আসে স্টেডিয়ামে। শুরু হয় শিরোপা উদযাপন।
এদিকে, চেলসির এই হারে মৌসুমে শীর্ষ দশের বাইরেই লিগ শেষ করতে হবে তাদের। প্রিমিয়ার লিগ যুগে শেষ বার চেলসি শীর্ষ দশের বাইরে লিগ শেষ করেছিল ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে। সেবার তারা ১১তম স্থানে থেকে লিগ শেষ করেছিল।
এদিন, খেলার ১২ মিনিটে কোল পালমেরের বাড়িয়ে দেয়া বল থেকে গোল করেন আলভারেজ। যা এই আর্জেন্টাইনের নবম গোল। এমনিতেই ইপিএল শিরোপা জিতে তাদের মন ছিল ফুরফুরে। তার ওপর প্রথমার্ধে গোল পেয়ে সমর্থকরদের উচ্ছ্বাস ছিল বাধভাঙা। তাই উল্লাসের সঙ্গে মেতে উঠেন সিটির ফুটবলাররাও।
এই ১-০ গোলের ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল। প্রথমার্ধে ও দ্বিতীয়ার্ধে পরে অনেক সুযোগ পেয়েছিল দুই দল। কিন্তু কেউই কাজে লাগাতে পারেননি। ফলে ঐ ব্যবধান নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যানচেস্টার সিটি।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যান সিটি সমর্থকরা । ছবি: সংগৃহীত
পুরো ম্যাচের ৬৬ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রেখেছিল ম্যানচেস্টার সিটি। যেখানে তার ১৫টি শট নিতে পেরেছিল। তবে লক্ষ্য বরাবর শট ছিল মাত্র দুটি। যার মধ্যে একটি থেকে আলোর মুখ দেখাতে পেরেছিলেন আলভারেজ। অন্যদিকে হারলেও ৬ বার সিটি গোলবার লক্ষ্য করে শট নিয়েছিল চেলসি। তবে প্রতিবার তাদের হতে হয়েছে হতাশ।
ম্যাচ শেষে সিটির হাতে তুলে দেয়া হয় ট্রফি। ক্লাবের ইতিহাসে এই নিয়ে ৯ বার এই স্বাদ পেল তারা, যার সাতটিই ২০১১-১২ থেকে।
৩৬ ম্যাচে ২৮ জয় ও ৪ ড্রয়ে সিটির পয়েন্ট হলো ৮৮। অন্যদিকে ৩৬ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে ১২ নম্বরে আছে চেলসি।
আগামী ৩ জুন এফএ কাপের ফাইনালে ম্যান সিটি মাঠে নামবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। এরপর ১০ জুন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে প্রতিপক্ষ ইন্টার মিলান।অ