বৃহস্পতিবার, ১৪ই নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ

চট্টগ্রামের মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়কের  ব্রিজটির কাজ শেষ হবে কবে

ইতোমধ্যে কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হলেও যান চলাচলের জন্য খুলে দিতে আরও একমাস সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা। গত ১৭ জানুয়ারি পুরনো কালভার্টটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওইদিন থেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।

মুরাদপুর-অক্সিজেন সড়ক দিয়ে খাগড়াছড়ি, রাঙ্গামাটি, উত্তর চট্টগ্রামের রাউজান, রাঙ্গুনিয়া, হাটহাজারী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বাসিন্দা তথা নগরীর বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের লোকজন চলাচল করেন। নগরীর নিউমার্কেট থেকে মুরাদপুর হয়ে হাটহাজারী ও রাউজানসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার বিরতিহীন বাস চলাচল করে। ওইসব বাস এখন মুরাদপুর মোড় থেকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ছেড়ে যাচ্ছে। এতে যাত্রীদের সময় ও অর্থের ব্যয় বেড়েছে।

চট্টগ্রাম ওয়াসা সূত্র জানায়, কালভার্টটির নিচে চট্টগ্রাম ওয়াসার তিনটি পাইপলাইন ছিল। কালভার্ট নির্মাণের সুবিধার্থে পাইপলাইনগুলো দুই পাশ থেকে কেটে বিচ্ছিন্ন করা হয়। কাটা পাইপলাইন পুনরায় জোড়া লাগানো হবে। এতে কমপক্ষে একমাস সময় লাগতে পারে। তিনটি পাইপলাইন জোড়া লাগানোর পর কালভার্ট দিয়ে যান চলাচল উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

সরেজমিন দেখা গেছে, ১৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৮ মিটার প্রস্থের কালভার্টটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে মাসখানেক আগে। লোকজনের চলাচলের জন্য এটি খুলে দেওয়া হলেও দুই পাশে সংযোগ সড়ক করা হয়নি। এ কারণে যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। বৃষ্টি হলে কাঁদাপানিতে একাকার হয় কালভার্ট, এ জন্য চলাচলকারী লোকজনকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।

রৌফবাদ এলাকার বাসিন্দা ব্যাবসায়ী আবদুল গফ্ফার মিয়াজি  বলেন, ‘কালভার্টটি নির্মাণে বেশ সময় নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণের আগে বলা হয়, দুই মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। চট্টগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় জনদুর্ভোগ বেড়েছে।’

চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, ‘মুরাদপুরে কালভার্টের নিচে ওয়াসার তিনটি পাইপলাইন ছিল। কালভার্ট নির্মাণের সময় এসব পাইপলাইনের দুই পাশে কাটা হয়। এগুলো পুনরায় জোড়া লাগানো হবে। শিগগিরই এর কাজ শুরু করবো।’

‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনর্খনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় কালভার্টটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।

প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. শাহ্ আলী বলেন, ‘মুরাদপুরের কালভার্টটির নির্মাণ প্রায় শেষ। লোকজনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এটি নির্মাণের সময় ওয়াসার কয়েকটি পাইপলাইন কাটা পড়েছিল। সেগুলোর কাজ শেষ হওয়ার পর যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন