বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী সরকারের কর্তৃত্ববাদী শাসনে দেশে ঘোর দুর্দিন নেমে এসেছে। দুঃশাসনের অরাজকতায় দেশকে খাদের কিনারে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। চরম মুদ্রাস্ফীতিসহ ভয়ঙ্কর অর্থ সংকটে অর্ধাহারে ও অনাহারে মানুষের দিন কাটছে। এদিকে প্রায় বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে গোটা দেশ। লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের জীবনযাত্রা। বৈদ্যুতিক পাখা চালানোর জন্যও বিদ্যুৎ মিলছে না। মিল কল কারখানার উৎপাদন সব বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে তথাকথিত কুইক রেন্টালের মালিকানা দলীয় লোকদেরকে দিয়ে অবৈধ সরকার লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে স্থাপন করা বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখন অচল হয়ে পড়ে আছে।
তিনি এই লুটেরা সরকারের হাত থেকে দেশ বাচাতে আগামী ১১জুন কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতৃবৃন্দকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহবান জানান।
তিনি মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ১১ জুন কেন্দ্র ঘোষিত চট্টগ্রাম বিভাগীয় তারুন্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্ততি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক সরওয়ার উদ্দিন সেলিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আকবর আলীর পরিচালনায় প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মো. সালাউদ্দিন, আহবায়ক কমিটির সদস্য অধ্যাপক মো. মহসিন।
মাহবুবের রহমান শামীম বলেন, আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে গত ১৪ বছর ধরে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে। এই অনির্বাচিত সরকার শুধু গণতন্ত্রকেই হত্যা করেনি, লুটপাট করে দেশকে ফোকলা বানিয়ে ফেলেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে বেগমপাড়া বানিয়েছে। আওয়ামী লীগ ভালোভাবেই জানে, জনগণের ভোটে আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে না। তাই তারা আবারো ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসার জন্য ফন্দি ফিকির করছে। কিন্তু এসব করে আওয়ামীলীগ এবার রেহাই পাবে না। ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলনের মাধ্যমেই স্বৈরশাসকের পতন নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে হুম্মাম কাদের চৌধুরী বলেন, ২০১৮ সালে নিশিরাতের ভোটে বিজয়ী হয়ে সারাদেশে আনাচার অবিচার দূনীতি লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এর প্রতিবাদ করায় বিএনপির বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। এই কদিনে সারা দেশ থেকে প্রায় সাতশো নেতাকর্মীদের আটক করেছে। পাঁচ হাজারের বেশী মামলা দিয়েছে। সরকার বিএনপির সাথে অস্ত্রের ভাষায় কথা বলা শুরু করেছে। আমাদের কর্মসূচীকে পদে পদে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই, সংবাদপত্র হুমকীর মুখে, মানুষের কথা বলার প্রতিবাদ করার স্বাধীনতা নেই। এখন কথা বলতে হলে পুলিশের অনুমতি নিতে হয়। সরকার কান্ডজ্ঞান হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তাই নির্যাতন চালাচ্ছে।
সভায় বক্তব্য রাখেন উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল ইসলাম বাবুল, সোলাইমান রাজ, ইউছুপ তালুকদার, মো. আলাউদ্দিন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জাহাঙ্গীর এলাহী, ফোরকান ইকবাল, এরশাদ মির্জা, খালেকুজ্জামান রাশেদ, শাওন উদ্দীন রকি, মিরসরাই উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক ওমর শরীফ, ফটিকছড়ি উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক এস এম আবু মনসুর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ সভাপতি হারুন ভূঁইয়া, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আশ্রাফুল হক হারুন, সফিউল আজম সামু, এড. ইউছুপ আলম মাসুদ, শাহ মো. ফোরকান উদ্দীন চৌধুরী, একরাম মিয়া, হেলাল উদ্দিন বাবর, আলী নুর, জিয়া উদ্দীন ফরহাদ, নাজিম উদ্দীন, তালুকদার মনি, শাহাদাত হোসেন, শহীদুল আলম, নুরউন নবী, ফরহাদ হোসেন তুহিন, শাহাদাত মির্জা, নজরুল ইসলাম, কামাল উদ্দীন, রিয়াজ মোর্শেদ রবিন, মো. রাসেল, সৈয়দ সাবেরুল ইসলাম, আদনান মাহমুদ চৌধুরী, আবু জুবায়ের চৌধুরী শিবলী, মো. রুস্তম, শওকত আলী, ফজলুল করিম, আবু বক্কর সোহেল, হুজ্জাতুল ইসলাম, মো. ফারুক, মো. হাসান, মোমিন সিকদার, প্রিন্স ওমর ফারুক, মনজুরুল ইসলাম প্রমূখ।