২০১৫ সালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দুই মাস আটকে রাখার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে ভারতে রেখে আসা হয়েছিল। এর আগে তাকে এক বন্ধুর বাসা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়। তার বিরুদ্ধে ভারতে অনুপ্রবেশের অভিযোগে দেশটিতে যে মামলা হয়েছিল সেই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন তিনি। এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন। সোমবার ডয়চে ভেলেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সালাহউদ্দিন নিজে এই দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি উত্তরায় এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলাম। ২০১৫ সালের মে মাসের এক রাতে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্রধারী লোকজন আমাকে তুলে নেয়। চোখ বেঁধে হ্যান্ডকাপ পরায়। এরপর প্রায় ৬১ দিন গোপন জায়গায় আটকে রাখে। ১০ মে একটি গাড়িতে তুলে অনেক দূর নিয়ে যায়। কত ঘণ্টা বলতে পারব না। সেখানে নামার পর কিছু এলাকা হাঁটিয়ে নেয়। পরে আবার একটি গাড়িতে তোলে। সকালের দিকে আমার চোখের পর্দা খুলে দেয়।’
সীমান্ত পার হওয়ার বিষয়টি কিভাবে বুঝলেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমাকে হাঁটিয়ে এক জায়গায় নিয়ে পরে আবার গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়।’ কেন মেঘালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু বলতে পারব না।’
মেঘালয়ে খরচ কীভাবে চলে জানতে চাইলে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘পরিবার আমার খরচের টাকা পাঠায়।’ বাংলাদেশের সরকার কোনো যোগাযোগ করেছিল কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। যেখানে বাংলাদেশ হাইকমিশন রয়েছে সেখানে গিয়েছিলাম ট্রাভেল পাশের জন্য। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘মেঘালয় সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে চিঠি দিয়েছে আমাকে দেশে পাঠাতে। এখন কী অবস্থা বলতে পারব না।’ বাংলাদেশের আদালতের মাধ্যমে দেশে ফেরার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলব।’ রাজনীতির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেবেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি স্থায়ী কমিটির সদস্য। রাজনীতির সঙ্গে আছি।’
শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘খুব একটা ভালো নেই। আমার প্রথম পদক্ষেপ হবে চিকিৎসা।’