তিনি বলেন, আমরা গত ২ জুন ভোটের অধিকার অর্জন, বাকস্বাধীনতা সর্বপরি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলাম। আমরা ১১ জুন চট্টগ্রামে, ১৭ জুন বগুড়ায়, ৭ জুলাই খুলনায়, ১৫ জুলাই বরিশালে, ২২ জুলাই সিলেটে এবং ২৯ জুলাই ঢাকায় সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমরা আরো ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমাদের সমাবেশগুলো হবে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অহিংস ও গণতান্ত্রিক।
যুবদলের সভাপতি বলেন, এ দেশের তরুণ সমাজ আমাদের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। আমরা সমাবেশ সফল করার জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সমাবেশ ঘিরে সারা দেশে একটি গণজাগরণের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ৪ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ একটি পাল্টা কর্মসূচি আমাদেরকে হতবাক করে। আমাদের কর্মসূচি প্রণয়নের ২ দিন পরে একই তারিখে একই স্থানে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আওয়ামী যুবলীগের এই কর্মসূচিকে আমরা উস্কানিমূলক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির একটি অপপ্রয়াস বলে মনে করি।
তিনি বলেন, আমরা অনেক দিন থেকে বলে আসছি আওয়ামী অঙ্গ সংগঠন যুবলীগ ও অন্যান্যরা জন্মলগ্ন থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আসছে। বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ করতে গুম, খুন, চাঁদাবাজি, হামলা মামলা তাদের জন্মগত অভ্যাস তারই ধারাবাহিকতা এখনো বিদ্যমান। শেখ হাসিনার অবৈধ অনির্বাচিত শাসন আমল যখন অস্তিয়মান ঠিক তখন আমাদের নির্ধারিত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির বিপরীতে যুবলীগের এই কর্মসূচিকে আমরা নৈরাজ্য বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের অবৈধ শাসনামলকে দীর্ঘস্থায়ী করার ঘৃণ্য অপপ্রয়াস বলে মনে করি।
তিনি আরো বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দেশ নায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা সব সময়ই উদার, গণতান্ত্রিক ও পরমত সহিষ্ণুতার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, দেশ নায়ক তারেক রহমানের পরামর্শে এই উদ্ভূত পরিস্থিতি এড়িয়ে শান্তিপূর্ণ তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে আমরা কর্মসূচির তারিখ পুনঃনির্ধারণ করছি। আমরা মনে করি এক যুগেরও অধিক সময় যে তরুণ সমাজ ভোট দিতে পারছে না আজ সেই কোটি কোটি ভোটার ও তরুণ সমাজ আমাদের এই সমাবেশে যোগ দিয়ে সমাবেশ সফল করবে ইনশাআল্লাহ।
তারুণ্য সমাবেশের পুণঃনির্ধারিত তারিখ, সময় ও স্থান : আগামী ১৪ জুন চট্টগ্রাম, ১৯ জুন বগুড়া, ২৪ জুন বরিশাল, ৯ জুলাই সিলেট, ১৭ জুলাই খুলনা ও ২২ জুলাই ঢাকায় তারুণ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।