যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন বলেছেন, সরকারের বিদায় ঘন্টা বাজছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া সরকারের মন্ত্রীরা আবোল তাবোল বলছে। এই সরকারের পতনে জীবন দিতে হলে আমরা জীবন দিবো, তবু দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। সরকার দেশকে সংঘাতের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচার পতনের এক দফা, এক দাবিতে ইতোমধ্যে বিরোধী দলসমূহের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।
আগামী ১৪ জুন কেন্দ্র ঘোষিত যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় “দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ” সফল করার লক্ষ্যে আজ ৭ জুন (বুধবার), চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজার এলাকায় প্রচারপত্র বিলি উদ্বোধনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন বিচার করতে না পারলে, বিচারের দায়িত্ব জনগণের হাতে দিন। কিভাবে বিচার করতে হয়, আপনাদের শিখিয়ে দিবে এদেশের মানুষ। আজকে যদি হত্যা, গুম, খুন বন্ধ না করেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতি বন্ধ না করেন, তাহলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। জনগণ রাহমশায় নামলে ক্ষমতার মসনদ টিকবে না, ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে। তার আগেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে বিদায় গ্রহণ করুন।
কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি’র সভাপতিত্বে এবং চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচএম রাশেদ খান এর সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান বলেন, হাসিনা সরকারের সফলতা বলতে কিছু নেই। গণতন্ত্রকে হত্যা আর মানবাধিকার হরণই তাদের বড় সাফল্য। উন্নয়নের নামে তারা দেশে একটা লুটপাটতন্ত্র কায়েম করেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশে প্রতিষ্ঠা করেছে একদলীয় বাকশাল। স্বাধীনতার ৫২ বছরে গণতন্ত্র আর ভোটাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এটা জাতির জন্য বড় লজ্জার। বর্তমান সরকার দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থা পুরোপুরি ধ্বংস করে দিয়েছে। তাদের অধীনে দেশে কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন, নির্বাচনকালীন সরকার, নির্বাচনের আগে জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, আন্দোলনকে দমন করতে গণবিরোধী সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় হামলা-মামলা-দমন-নিপীড়নের সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা বানোয়াট ও গায়েবী মামলা দিয়ে মৌলিক অধিকার হরণ করছে। সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে বর্তমান অবৈধ দখলদার সরকার। কুইক রেন্টাল দিয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা লুপাট করে দেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে। আজ পানি ও বিদ্যুতের জন্য কোটি কোটি মানুষ হাহাকার করছে। অন্যদিকে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, অবৈধ সরকারের সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। এই লুঠেরা সরকারের পতনের এক দফার আন্দোলনের চূড়ান্ত লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে আগামী ১৪ জুন চট্টগ্রাম মহানগরে “দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ” সফল করার আহবান জানান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী ফয়সাল, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক মোঃ সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনÑসহ মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।