বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতা আমির হোসেন আমুর বক্তব্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বক্তব্য- এগুলোর উদ্দেশ্য হলো আমাদের মূল দাবিতে থেকে মনোযোগ ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়া আর বিদ্যুতের সমস্যার বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়া।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটটিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ( ইউট্যাব) ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের সংকট উত্তরণ প্রয়াসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা: একটি পর্যালোচনা’- শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফুলঝুরি করে এখন বিদ্যুৎ দিতে পারছে না, আমরা বিদ্যুৎতের দাম দিচ্ছি। কিন্তু সেই টাকা গেল কই? আজকে নাকি বিদ্যুৎ নাই, ডলারও নাই।’
তিনি বলেন, ‘এদেশের মানুষ যেটা চায়, আওয়ামী লীগ তার উল্টোটা চায়। তাদের আচরণ, ভাষা, কর্মকাণ্ড হিংসাত্মক, আক্রমণাত্মক এবং সহিংস। আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসাথে যায় না।’
মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ তাদের নেতা মাওলানা ভাসানীকে দল থেকে বের করে দিয়েছে, স্পিকার শাহেদ আলীকে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের ভেতর পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। তারা এখনো এগুলোই করছে।
‘সাধারণ মানুষ আজ ভোট দিতে পারেন না, আজকে মানুষ দ্রব্যমূল্যের কারণে তাদের ছোট বাচ্চার হাতে কিছু দিতে পারছে না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সঙ্কট হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না থাকা। ২০১১ সালে শেখ হাসিনা তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করা হয়। তখন বেগম খালেদা জিয়া সংবাদ সম্মেলনে করে বলেছিলেন, আজকে এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের ঘটনার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে চিরস্থায়ী সঙ্কট, সঙ্ঘাত শুরু হলো।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকে সবাই একটু সাহস করে দাঁড়াই। না হলে আমাদের দেশে গণতন্ত্রের বিকাশ হবে না।’
আমাদের দাবি তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সেটা যে নামই ডাকা হোক, নির্দলীয় সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন দিতে হবে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
একই সভায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আজ যেভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তির উন্মেষ হচ্ছে, একনায়কতন্ত্রের স্বৈরাচার টিকবে না। আজকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের চাকুরিচুত্য করা হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, অধ্যাপক নুরুল আমীন বেপারী,অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম, অধ্যাপক শামছুল হক সেলিম, অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।