প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সংস্কৃতি চর্চা এগুলোর মধ্যে দিয়ে মানুষের যেমন মেধা বিকশিত হয়, ঠিক সেই ভাবে আমাদের দেশের মানুষের উজ্জিবিত হওয়া, আত্মবিশ্বাস বাড়ে, দেশের প্রতি ভালোবাসা বাড়ে, দায়িত্ববোধ বাড়ে, কর্তব্যবোধ বাড়ে।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা যত বেশি খেলাধুলায় সম্পৃক্ত থাকবে ততবেশি আমি মনে করি শুধু লেখাপড়া না, পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীর চর্চা, সাংস্কৃতিক কারযক্রমের সঙ্গে যেন সম্পৃক্ত থাকে আমি সেটাই চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি চাই বাংলাদেশ সব দিক থেকে বিশ্বে সেরা হবে। খেলাধুলা, অর্থনৈতিক উন্নতি, সবদিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মর্যাদা নিয়ে চলবে। আত্মমর্যাদা নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে।’
ফুটবলের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফুটবলের সঙ্গে আমার পারিবারিক সম্পর্ক। আমার বাবা ফুটবল খেলতেন, আমার দাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন। এমনকি আমাদের নাতিপুতিরাও ফুটবল খেলে। সেদিক থেকে ফুটবলের সঙ্গে আমাদের অন্য রকম সম্পর্ক রয়েছে। তার থেকে বড় কথা সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল।’ এ ফুটবল টুর্নামেন্ট আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক্ এসোসিয়েশনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘এই আয়োজন সারাদেশে একটা অভূতপূর্ব সাড়া জাগিয়েছে। এই আয়োজন যেন এখানেই থেমে না যায়। আমাদের দেশে অনেক খেলা আছে। সেই খেলাগুলোও যেন আস্তে আস্তে যুক্ত করে এই ধরনের প্রতিযোগিতা যেন আরও চলতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার মধ্যে থেকে উৎকর্ষ সাধন হবে। আর এখান থেকে আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়েও এক সময় আমরা বিশ্বকাপ খেলতে পারবো। হয়তো বিশ্বকাপ একদিন জিততেও পারবো।’
ব্যাংক এসোসিয়েশনের দাবির প্রেক্ষিতে একটা স্টেডিয়াম করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্যাংক এসোসিয়েশন আমার কাছে দাবি করেছে একটা স্টেডিয়াম, অবশ্যই একটা স্টেডিয়াম আমি করে দিবো। পূর্বাচলে একটা ক্রিকেট স্টেডিয়াম হচ্ছে, তার কাছে আরেকটা ফুটবল স্টেডিয়ামসহ আমাদের স্পোর্টস এর জন্য যেন একটা স্টেডিয়াম হয় সেই ব্যবস্থাটা আমরা করে দেবো।