প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,আগামী ১৪ জুন চট্টগ্রামে “দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ” জনসমুদ্রে রূপ নিবে।গত ১৪ টি বছর এই দেশের তরুণ প্রজন্ম ভোট দিতে পারে নাই।ভোট কি জিনিস তারা জানে না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই জনগণের ভোটাধিকার সম্পূর্ণভাবে হরণ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে সাধারণ মানুষ বঞ্চিত। ভোটার অধিকার পুনরুদ্ধার সংগ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী দিনে দেশের গণতন্ত্র,ভোটার অধিকার, ভাতের অধিকারসহ সর্বোপরি জনগণের গণতান্ত্রিক সকল অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। এই সরকার পতনের এক দফা আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। সরকারকে
পদত্যাগ করতে হবে। আগামী ১৪ই জুন দেশ বাঁচাতে তরুণ্যের সমাবেশের মাধ্যমে প্রতিফলিত হবে এই দেশের জনগণ এই হাসিনা সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আগামী দিনে বিএনপি’র চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই সরকার পতন আন্দোলন আরো বেগবান হবে। আগামী ১৪ই জুন দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর এর ৪৩ টি ওয়ার্ড,১৫ টি থানার সকল নেতৃবৃন্দদের ঐক্যবদ্ধ যোগদান করার আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আজ ৯ জুন,শুক্রবার বিকালে নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে আগামী ১৪ জুন দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশ সফল করার লক্ষে মহানগর বিএনপির প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দুর্নীতি লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের ভয়াবহ দুরবস্থা। বিদ্যুৎখাতে সরকারের ভয়াবহ লুটপাটের মাশুল দিচ্ছে দেশবাসী। এতদিন সরকারের উন্নয়নের গল্প বলে দেশবাসীকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। দেশের মানুষ ঘুম থেকে জেগে দেখে সমগ্র বাংলাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। উন্নয়নের নামে লুটপাট করে দেশের টাকা বিদেশে প্রাচার করেছে। কয়লার কারণে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। কয়লা আমদানি করতে পারছে না টাকার অভাবে। জনগণ তো বিদ্যুতের বিল বাকি রাখে নাই। কিন্তু কয়লা আমদানিতে হাজার হাজার কোটি টাকা লোন কেন? এই সরকার একটি লুটপাটকারী সরকার। জনগণের টাকা লুটপাট করে সরকার দলীয় লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে।অন্যদিকে সাধারণ জনগণ পথে বসেছে। আজকে সরকারের পতন অত্যাসন্ন। বিদ্যুৎ খাতে প্রায় ১৫৪টি প্ল্যান্টের মধ্যে মাত্র ৪৯টি কোনরকম চালু আছে, ১০৪টি প্রায় বন্ধ। সরকারের দুঃশাসন ও কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসান ঘটাতে হলে আন্দোলনের বিকল্প নাই। নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদেশি চাপের কাছে তিনি মাথা নত করবেন না। কিন্তু তাকে দেশের জনগণের শক্তির কাছেই মাথানত করতে হবে। এই দশের জনগণ রাজপথে থেকে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করবে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন ভিন্নখাতে নিতে আওয়ামী লীগের নেতারা সংলাপের কথা বলছেন। সীমাহীন লোডশেডিং থেকে এখন দৃষ্টি সরাতে হবে। তাই আমির হোসেন আমু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ অন্যরা এখন সংলাপের বক্তব্য সামনে এনেছেন। তারা বিএনপিকে মূল দাবি থেকে মনোযোগ ভিন্নখাতে নেওয়ার অপচেষ্টা করছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও সংলাপ হয়েছিল। সেই সংলাপের ফলাফল দেশবাসী দেখেছে। শেখ হাসিনার উপর আস্থার ফল নির্বাচনে প্রার্থী থেকে একজন সমর্থক পর্যন্ত ঘরে থাকতে পারেনি। আওয়ামি লীগের সাথে আর কোন সংলাপ নয়, আমাদের দাবি একটাই শেখ হাসিনার অধিনে আর কোন নির্বাচন নয়। তাকে পদত্যাগ করতেই হবে। আগামী ১৪জুন দেশ বাঁচাতে তারুন্যের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল মহানগরীর ১৫টি থানা ৪৩টি ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদককে যুবদল, স্বোচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল নেতৃবৃন্দকে ঐক্যবদ্ধভাবে আসতে হবে।
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান বলেন,মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতার মূল চেতনা গণতন্ত্র আজ নির্বাসনে। বিচার ব্যবস্থাও ধ্বংস করেছে আওয়ামীলীগ।তাই দেশ বাঁচাতে তারুণ্যের সমাবেশের মাধ্যমে তারুণ্যের অধিকার আদায় রাজপথে নামতে হবে। এই স্বৈরাচার সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত সকলকে রাজপথেই থাকতে হবে।
প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মো. শাহ আলম, ইসকান্দর মির্জা, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য শামসুল আলম, জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, এস এম আবুল ফয়েজ, আহমেদুল আলম চৌধুরী রাসেল, মন্জুর আলম মন্জু, মো. কামরুল ইসলাম,মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, বিভাগীয় শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার,স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, সাধারন সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, থানা বিএনপির সভাপতি মন্জুর রহমান চৌধুরী, মো. আজম, আবদুস সাত্তার সেলিম, হাজী হানিফ সওদাগর, আবদুল্লাহ আল হারুন, থানা সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নুর হোসাইন, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহীন, শ্রমিকদলের শম জামাল উদ্দিন, তাহের আহম্মেদ, কৃষকদলের সদস্য সচিব কামাল পাশা নিজামী, তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান মুরাদ প্রমুখ।