- সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডের প্রতিদ্বন্দ্বী কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের সরকার দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন খান।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, ‘ভিডিও ফুটেজে যাদেরকে দেখা যাচ্ছে, তাদেরকে গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। নির্বাচনের পরিবেশ অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে কেউ ছাড় পাবেন না।’
সংশ্লিষ্টসূত্র জানায়, সশস্ত্র ওই মহড়ার ঘটনাটি গত মঙ্গলবারের। তবে এর ভিডিও ফুটেজ অনলাইনে ছড়িয়েছে বৃহস্পতিবার রাতে। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, নগরীর সুবিদবাজারের দিঘিরপাড়ের ১৩ নম্বর বাসার সামনে সশস্ত্র মহড়া দিচ্ছেন একদল মোটরসাইকেল আরোহী যুবক। ওই বাসাটি কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আবদুল্লাহর। বাসার মূল ফটকে গিয়ে ওই যুবকরা অস্ত্র উঁচিয়ে প্রদর্শন করছেন এবং বার বার মোটরসাইকেল ঘুরিয়ে সেখানে মহড়া দিচ্ছিলেন। এসময় একটি মোটরসাইকেলে কাউন্সিলর প্রার্থী আফতাব হোসেন খানও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর প্রার্থী সাঈদ আবদুল্লাহ বলেন, ‘গত মঙ্গলবার ভোরে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আফতাব হোসেন খানসহ তার অনুসারীরা আমার বাসার সামনে এসে অস্ত্র তাক করে মহড়া দেয়। বৃহস্পতিবার লোকমুখে ঘটনা জেনে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে বিষয়টি নিশ্চিত হই। এরপর ঘটনাটি আমি মোবাইল ফোনে মৌখিকভাবে পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করি। বৃহস্পতিবার রাতেও তারা অনেকগুলো মোটরসাইকেলযোগে আমার বাসার সামনে এসে শক্তি প্রদর্শন করে। এতে আমি আতঙ্কিত।’
একটি সূত্র জানায়, আফতাবের নেতৃত্বে ওই মহড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রুহিন, ৭নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, অস্ত্র মামলায় ২ বছর কারাভোগ শেষে বের হওয়া আবুল কালাম আজাদ তুহিনসহ তাদের অনুসারীরা ছিল।
সশস্ত্র মহড়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আফতাব হোসেন খান বলেন, ‘প্রার্থী হিসেবে আমি প্রতিদিনই অনুসারীদের নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। অস্ত্র প্রদর্শনের কোন ঘটনা ঘটেনি। আর কেউ করে থাকলে সেটা আমার জানা নেই।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, ‘সন্ত্রাস-অপরাধ করে কেউ রক্ষা পাবে না। ভিডিও ফুটেজে যাদেরকে দেখা গেছে তাদেরকে চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।’