বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৪

সর্বশেষ

মহানগর যুবলীগের কমিটি না দেওয়ায় নেতাকর্মীরা হতাশা

নয় বছর পর মহানগর যুবলীগের সাম্মেলন হয়েছিল ২০২২ সালে। অবশেষে সম্মেলনের এক বছর পর দলের দুঃসময়ের রাজপথের পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের কমিটি হচ্ছে। তবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কে হচ্ছেন এ নিয়ে কেন্দ্রে যেমন চলছে চুলছেড়া বিশ্লেষন তেমন নগর নেতাদের মাঝেও চলছে নানা আলোচনা সমালোচনা। এরই মধ্যে আবার সমান তালে আছে প্রতিযোগিতা কে কিভাবে কাকে ডিঙিয়ে নিজের চেয়ার বসার রাস্তা পরিস্কার করবে তারই হিসেব নিকেশ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম নিশ্চিত করতে অপেক্ষা করতে হবে আরো কয়েকটা দিন। তবে এ পর্যন্ত এই পদের জন্য সব লিস্টে সবার উপরে আছেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য দেবাশীষ পাল দেবু, মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য নুরুল আনোয়ার, বঙ্গবন্ধু ল টেম্পল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি রতন মল্লিক, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এম.আর. আজিম, ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. সালাহউদ্দিন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা। নাম প্রকাশ করা স্বত্তে যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি বিশ্বস্ত একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
একটি বলয়ের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সন্তান শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। গ্রুপটি মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রুপ হিসেবেই বেশি পরিচিত। নগর আওয়ামী লীগের পাশাপাশি দলটির বিভিন্ন অঙ্গ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলো এ দুই বলয়ে বিভক্ত। ফলে কোনো সংগঠন পুনর্গঠনের বিষয়টি সামনে এলই অনুসারী ও পছন্দের পাত্রকে গুরুত্বপূর্ণ পদ দিতে দুই পক্ষ তোড়জোড় শুরু করে। সূত্র জানায়, ইঞ্জি: এম.এ. মহিউদ্দিন, সুমন দেবনাথ, জাবেদুল আলম সুমন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মুনসুর আলী চৌধুরী, সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক আজমল হোসেন হিরু, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল আলম লিমনসহ কয়েকজন সভাপতি সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে আবেদন করেছেন। কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক পদ দুই গ্রুপে ভাগবাটোয়ারা করে দেওয়া হলে সে ক্ষেত্রে নাছির বলয়ের নেতাকর্মীরা সভাপতি পদ চান। শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলয়ে যারা নগর যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে চান কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, আবু নাছের চৌধুরী আজাদ, মহানগর যুবলীগের সাবেক সদস্য সনত বড়–য়া, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেসের সাজসজ্জা উপকমিটির সদস্য ফসিউল আলম রিয়াদ, বাকলিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক জিএস ও ডবলমুরিং থানা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন দাশ গুপ্ত, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক, শেখ মহিউদ্দিন বাবু, রাজীব হাসান রাজন, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছামদানি জনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি সুজন, সাবেক ছাত্রনেতা আরিফুল ইসলাম মাসুম, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক উপ অর্থ সম্পাদক আবু হানিফ রিয়াদ। অন্যদিকে দুই বলয়ের মাঝে স্বতন্ত্রভাবে কাজ করা কয়েকজন যুবলীগ নেতা রয়েছেন, যারা কেন্দ্রের সঙ্গে সমন্বয় করে নগর যুবলীগের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন।

 

আরও পড়ুন