চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, সরকার দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে হত্যা করে দেশবাসীকে উন্নয়নের কথা বলছে। মূলত তারা উন্নয়নের নামে দুর্নীতি লুটপাটে ব্যস্ত। আওয়ামী লীগ সরকার যারা জোর করে ১৪ বছর ক্ষমতা দখল করে আছে। তারা অত্যন্ত সুচিন্তিতভাবে মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে মানুষের ভোটাধিকার অধিকার নাই। ২০১৪ , ২০১৮ সালে আমরা ভোট দিতে পারিনি। আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকার আবার নতুন খেলা শুরু করেছে। আওয়ামীগ শুধু নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করেনি, দুর্নীতি, লুটপাটের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। সরকার বিদ্যুৎ নিয়ে যে ঢাকঢোল পিটিয়েছে, যে টাকা খরচ করেছে এখন সেটা কোথায়? আজ সারাদেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার রাজনীতি করছেনা। আমারা দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলনা করছি। আগাম ১৪জুন তারুন্যের সমাবেশ দেশের মানুষের ভোটাধিার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ
তিনি আজ শনিবার, ১০ জুন বিকালে কোতোয়ালী থানা যুবদলের উদ্যোগে আগামী ১৪ জুন দেশ বাঁচাতে তারুন্যের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে রিয়াজ উদ্দিন বাজারে প্রচারপত্র বিলি কালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন চরম সংকটে পতিত হয়েছে। এ সংকট থেকে উদ্ধার করতে হলে অবৈধ ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন করতে হবে। স্বেরাচার এরশাদের পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে, আইয়ুব খানেরও পতন হয়েছে ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে। এ সরকারেরও পতন হবে তরুন্যের সমাবেশের মধ্যদিয়ে। আগামী ১৪ জুন দেশ বাঁচাতে তারুন্যের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশে যে জন-জোয়ার উঠবে, সে জোয়ারে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারের পতন তরান্নিত হবে। তারুন্যের সমাবেশ সফল করতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দকে সরকারের গুম, খুন, দুর্নীতি, লুটপাটের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা তৈরি করে ভূমিকা পালন করতে হবে। আগামী দিনের সরকার পতনের আন্দোলনো সর্বচ্চ ত্যাগ শিকার করার প্রস্ততি নিতে হবে।
কোতোয়ালী থানা যুবদলের সিনিঃ যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোহাম্মদ হাসানের সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, আবদুর রাজ্জাক, নাছির উদ্দিন চৌধুরী নাছিম, যুগ্ম সম্পাদক মো. সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, সহ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, মো. সালাউদ্দিন, মো. ইদ্রিস, আবদুল্লাহ আল জিতু, মো. বেলাল, বাকলিয়া থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু, যুবদল নেতা মো. রিয়াদ, আলি হোসেন, সিরাজ খান রাজু, মোঃ সাইফুল্লাহ, বিপ্লব চৌধুরী বিল্লু, মোজাম্মেল হক সোহেল, মো. কফিল উদ্দিন, মো. ফোরকান, মো. সুমন, মো. ফারুক, মো. সাব্বির, মো. সোহেল, মো. জাহেদ, মাঈন উদ্দিন খান রাজিব, রবিউল হোসেন রুবেল, মহিউদ্দিন, আবুল হোসেন, ওমর ফারুক রানা, জাবেদুল ইসলাম সোহেল, মো. ইউসুফ, আরিফুল ইসলাম সোহেল প্রমূখ।