তবুও ফিরতে হয়
**************
এতটা নিস্তব্ধ হতে জেনেছি কবে, মনে তো নেই!
মনে তো নেই, আমি ছিলাম এক ঝলমলে প্রহর, কাজলা দীঘি, ঝর্ণার গান, ছাতিমের ছায়া, উড়ালিয়া পাখি, সাঁঝের ঘোর।
জানি নি কখনো, আমি এতটা আঁধার, এতটা ধীর, এতটা নিবিড়!
এ যেন প্রগাঢ় অমানিশা কৃষ্ণপক্ষের শেষ তিথির!
কতবার পুড়েছি খই-ফোটা গরমে, পুড়ে পুড়ে জুড়িয়েছি পরাণ, কখনো মরেছি মরমে,
কখনো রয়েছি পড়ে পথের ধারে, ভুলঞ্চ ফুলের পাশে, তারপর গিয়েছি একেবারে মিশে!
কবে শিখেছি এতটা সয়ে যেতে, এতটা হারাতে!
কোন্ পিছুডাকে আবার আসি বা ফিরে?
নিঃশব্দ শব্দের মন্দ্রিত চলাচল, অগুণতি হাতের
একাগ্র প্রার্থনা?
ওরাই বুঝি হারাবার পথে, আমার অবুঝ সীমানা।
আকাশে উদাম চাঁদ, বাতাসে লেবু-ফুল ঘ্রাণ,
আঁধারের চাদরে লুকাই মুখ, লাগাই কপাট আবার,
দেখি কতশত মুখ লন্ঠন হাতে আমার দাওয়ায়,
‘ভুলে গেছ সব? কেন রাখ নাই মনে আর! ফিরে এসো, আমরা রয়েছি প্রতীক্ষায়, তুমি তো নও আর একার তোমার!
মনে রেখ, তুমি আমাদের একান্ত অধিকার!’
আমি পরাভূত
আমি অভিভূত
আমি এসেছি ফিরে
আমি ফিরেছি ভীড়ে।
@ সালমা_সুলতানা