কয়েকদিন পরেই মুসলমানদের বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানী ছাড়তে শুরু করেছেন মানুষ। তবে, শনিবার (২৪ জুন) সকাল ৬টা থেকে ট্রেনযাত্রা শুরু হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে স্টেশনে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তথ্যমতে, স্টেশনের প্রবেশ করতে বাঁশ দিয়ে তৈরি বিশেষ গেট করা হয়েছে। সেখানে লাইনে দাঁড়িয়ে যাত্রীদের টিকিট আর এনআইডি কার্ড দেখিয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে হবে। এরপর দ্বিতীয় স্তরের চেকিংয়ে টিকিট এবং এনআইডি প্রদর্শন এবং তৃতীয় স্তরে ফাইনালি চেক করে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে প্রবেশের অনুমতি দেবেন স্টেশনে দায়িত্বরত টিকিট চেকাররা। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।
এ ছাড়া যাত্রীদের সুবিধা দিতে হেল্প ডেস্ক বসানো হয়েছে। সেখান থেকে জানা যাচ্ছে কোন ট্রেন কত নম্বর প্ল্যাটফর্মে রয়েছে বা কখন আসবে। যদিও ডিজিটাল স্ক্রিনের মাধ্যমে ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম ছাড়ার সময় দেওয়া আছে।
যাত্রী আমিনুল ইসলাম বলেন, টিকিট ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে স্টেশনে প্রবেশ করতে হয়েছে। তবে, অনেকেই টিকিট আনলেও জাতীয় পরিচয়পত্র না আনায় তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।
তোফায়ের নামে আরেক যাত্রী বলছেন, ঈদযাত্রার শুরুতে চাপ কম থাকে। তাই, ভোগান্তি এড়াতে বউ-বাচ্চাকে আগেই গ্রামে পাঠিয়ে দিচ্ছি। আমি শেষ কর্ম দিবসে যাব।
এদিকে ঈদযাত্রার প্রথম দিনে আন্তঃনগর ও লোকাল মিলে ৫৩ জোড়া ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে চলাচল করবে। ঈদের অগ্রিম টিকিট শতভাগ অনলাইনে বিক্রি করে রেল কর্তৃপক্ষ। যারা অনলাইনে টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি তাদের জন্য স্ট্যান্ডিং টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। ওই দিন ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হয়। এ ছাড়া ১৫ জুন দেওয়া হয় ২৫ জুনের, ১৬ জুন ২৬ জুনের, ১৭ জুন ২৭ জুনের এবং ১৮ জুন দেওয়া হয় ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।