টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর অলি-গলিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী। শনিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে কখনও মুষলধারে আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ঝরছে। সকাল পেরিয়ে সন্ধ্যা নামলেও নগরবাসীর পিছু ছাড়ছে না বৃষ্টি।
গ্রিন রোড, পান্থপথ, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, গার্ডেন রোড, কাঁঠালবাগান, আজিমপুর, সুবাস্ত, রামপুরা ব্রিজ, মিরপুর,শেওড়াপাড়া, ইস্কাটন রোডসহ (হলি ফ্যামিলির সামনে) ঢাকার বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমেছে।
এসব এলাকার রিকশা ও বিভিন্ন গাড়ির চাকা অর্ধেকের বেশি ডুবে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও যানবাহন ব্যবহারকারীরা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শুক্রবার (৩০ জুন) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৮৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, বৃষ্টি আরও হতে পারে।
ঈদের ছুটি শেষে রবিবার থেকে খুলছে সরকারী অফিস ও বিভিন্ন দপ্তর। ফলে শনিবার গ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ঢাকা ফেরত এসব মানুষ বৃষ্টিতে নানা সমস্যায় পড়েছেন। বৃষ্টিতে কাক ভেজা হয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে বাসায় ফিরতে হচ্ছে তাদের। বৃষ্টির কারণে রিকশা ও সিএনজিতে ভাড়া বেশি দিতে হচ্ছে।
অনেকেই বেশি ভাড়া দিয়ে অফিসে আসেন। রাস্তায় পানি জমে যাওয়ায় অফিস যেতেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
এমদাদুল হক নামের এক পথচারী বলেন, আমার বাসা শুক্রাবাদ কাঁচা বাজার এলাকায়। অফিসে যেতে বাসা থেকে বের হয়েই দেখি রাস্তায় প্রায় কোমর পানি। এ অবস্থায় কিছুতেই আসতে পারছিলাম না। পরে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর একটা রিকশা দিয়ে পার হই। এমন ভোগান্তিতে অনেকেই পড়েছে। আমার মনে হয় এজন্য সিটি করপোরেশনের নজরদারি বাড়ানো উচিত। পর্যাপ্ত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জনগণকে এই দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত এ সমস্যার সমাধান করা উচিত। ধানমন্ডির মতো এলাকায় এই অবস্থা হলে অন্য এলাকার কী অবস্থা একবার ভাবুন।
কারওয়ান বাজারে কথা হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী মেহেদী হাসানের সাথে। তিনি বলেন, বাসা থেকে সুবাস্ত আসতে গলিতে জমে থাকা পানির কারণে ২০ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা রিকশা ভাড়া দিতে হয়েছে। তারপর রামপুরা ব্রিজ থেকে কারওয়ান বাজার আসতে যাত্রী না থাকায় সিএনজির জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অফিসে আসতে হয়। এখানেও ৩০ টাকার জায়গায় ৪০ টাকা ভাড়া দিতে হয়েছে বলে জানান তিনি।
কাঁঠালবাগান এলাকার বাসিন্দা ওমর ফারুক বলেন, সামান্য বৃষ্টি হলে সড়কে পানি জমে। টানা বৃষ্টিতে গলিতে হাঁটু পানির ওপরে জমে গেছে। ড্রেনের নোংরা পানি পেরিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। যা বিভিন্ন রোগ ছড়াতে পারে।
তিনি বলেন, এখানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা খুবই খারাপ অবস্থা। ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা তলিয়ে যায়।