রোববার আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধীদলের নেতাদের ফোন হ্যাক করার কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন। একজন রাজনৈতিক নেতার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অত্যন্ত লজ্জাকর।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ফিলিস্তিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতকে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন হ্যাকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার কার ফোন হ্যাক করা হয়েছে? তথ্য-প্রমাণসহ তা উল্লেখ না করেই এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করা বেআইনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনগড়া এই বক্তব্য তাদের চলমান অপপ্রচার ও গুজব-সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা। ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণ ও বিদেশিদের প্রভাবিত করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ষড়যন্ত্রমূলক এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমি আহ্বান জানাব, জল ঘোলা করার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।
বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকারি সব সংস্থা সুনির্দিষ্ট আইনে পরিচালিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। দেশবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলো সর্বদা তৎপর রয়েছে। সরকার সংবিধান অনুযায়ী সব নাগরিকের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
বিবৃতিতে তিনি ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুদীর্ঘ লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে এদেশের জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছে। জনগণের ভোটেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে এবং ভবিষ্যতেও সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক এ ধারা অব্যাহত থাকবে। জনগণের ভোট দেওয়ার সুযোগ ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে বিএনপিসহ সব অপশক্তির যেকোনো ধরনের অপতৎপরতা প্রতিহত করা হবে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনগুলোতে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগে কোনো প্রকার ব্যত্যয় ঘটেনি। অতীতে বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও তাদের নির্বাচনবিরোধী কর্মকাণ্ড জনগণ প্রতিহত করেছে। তাই আমরা বিএনপির প্রতি আহ্বান জানাব, নির্বাচনবিরোধী অবস্থান পরিত্যাগ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং গণতান্ত্রিক রাজনীতির প্রতি মনোযোগী হোন।