বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১৭ আসামির গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার চার্জগঠনের শুনানি শুরু অব্যাহত রেখেছেন আদালত।আজ সোমবার আসামি একেএম মুসা কাজল ও এহসান ইউসুফের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম তাদের পক্ষে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি শেষ করেন।
ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আলী হোসাইন এ আসামি পক্ষের অব্যাহতির আবেদনের শুনানি গ্রহণ করেন। এরপর আদালত আগামী ৩০ জুলাই পরবর্তী চার্জশুনানির জন্য তারিখ ধার্য করেন।
কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনের নবনির্মিত ২ নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে এদিন এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এদিন খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার হাজিরা দাখিল করে চার্জশুনানির জন্য প্রস্তুতি নেই জানিয়ে সময় আবেদন করেন। এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর পক্ষে চার্জশুনানি শুরু করেন তার আইনজীবী।
মামলাটিতে গত বছর ৭ ফেব্রুয়ারি দুদকের প্রসিকিউটর মোশারফ হোসেন কাজল সব আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন।
মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ২৪ জন আসামি ছিলেন। তাদের মধ্যে ৭ জন মারা গেছেন। বর্তমানে আসামি ১৭ জন। অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ, প্রয়াত মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (অব.) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) সাবেক সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি দায়ের করা হয়। পরের বছর ১৩ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর মামলার দুই আসামি গ্যাটকোর পরিচালক সৈয়দ তানভির আহমেদ ও সৈয়দ গালিব আহমেদ মামলাটি বাতিলের জন্য হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৮ সালের ২৯ জুলাই হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে। ফলে এরপর থেকে ১০ বছর মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সর্বশেষ গত বছর ২৫ নভেম্বর হাইকোর্ট ওই দুই আসামির আবেদন খারিজ করে দেন এবং ৬ মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতকে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দেন।