বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম বলেছেন, আওয়ামীলীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে দেশের স্থিতিশীলতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বাংলাদেশকে অনিশ্চয়তার দিকে নিয়ে গেছে। তারা আবারো ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের মতো পাতানো নির্বাচন করার জন্য পাঁয়তারা করছে। কিন্তু এবার আর সে সুযোগ দেয়া হবে না। ইতিমধ্যেই ভোট ডাকাত এই সরকারের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর বেশি দিন নেই, যেদিন বাংলাদেশের মানুষ সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করবে। তাই এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। দেশে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে তা থেকে রক্ষা পেতে হলে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।সংকট থেকে মুক্তির একমাত্র পথ আওয়ামী ভোট ডাকাত সরকারের পতন।
তিনি সোমবার (১০ জুলাই) বিকালে কর্ণফুলী এজে চৌধুরী কলেজ বাজারস্থ উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে আগামী ১৬ জুলাই চট্টগ্রাম বিভাগীয় মেহনতি শ্রমিক জনতার মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির প্রস্তুতি সভা ও লিপলেট বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ জোর করে ক্ষমতায় এসে গত ১৫ বছরে দেড় লাখ হয়রানিমূলক মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় প্রায় ৪০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করেছে। বর্তমান সরকারের দুঃশাসনের অবসান ঘটানোর লক্ষেই বিএনপি আন্দোলন করছে। আন্দোলনের বন্যায় আওয়ামী সরকারকে বিদায় নিতে হবেই।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ভোট ডাকাত সরকার, এই সরকার মাফিয়াদের সরকার। এই সরকারের বিরুদ্ধে গনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ভোটাধিকার হাইজ্যাক করে যারা ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণের সরকার হতে পারে না। তাই জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই সরকারের বিরুদ্ধে গনপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এস এম মামুন মিয়ার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব হাজী মো. ওসমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি শফিকুল ইসলাম চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক ডা. মহসিন খান তরুণ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন ফয়সাল, আব্দুল গফুর মেম্বার, মো. হোসেন বাবুল, আব্দুল কাদের, আবু তাহের, কাজী মাঈনুদ্দীন টীপু, সালাউদ্দিন, মো. ওয়াসিম, ফারুক, হানিফ, মনির আহমেদ, মো. সেলিম, এজাবত উল্লাহ, ছালে জহুর, আজাদ, ওলি আহমদ, আব্দুল কাদের, মো. সেলিম, কায়সার চৌধুরী, মো. আলী দানু, হারুন সওদাগর, ইদ্রিস আমিরী, যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম শামীম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মনির আহমদ, মো. ফারুক, মো. দিদার, শ্রমিক দল নেতা তৈয়মুল আলম আঙ্গুর, দস্তগীর চৌধুরী, মো. ইলিয়াছ, মনির আহমদ, ছাত্রদল নেতা কামরুউদ্দীন সবুজ, শাখাওয়াত হোসেন মিশু, হারুনুর রশীদ, ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ।